
‘ম্যানেজ’ করে চলতে চাইলে চলা যায়
রোজা শুরুর কিছুদিন আগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমেই একখানা নিবন্ধ লিখে বলেছিলাম, এবার পণ্যবাজার সম্ভবত ‘শান্ত’ থাকবে। এটা মোটেও অসাধারণ কোনো ভবিষ্যদ্বাণী নয়। পণ্যবাজারের গতিপ্রকৃতি লক্ষ করে এমনটা বলা কঠিন নয় অর্থশাস্ত্রের একজন ছাত্রের পক্ষে।
রমজানে যেসব পণ্যের দাম আলাদা করে বাড়ার প্রবণতা থাকে, সেগুলোর বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইউনূস সরকার স্পষ্ট কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল। পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল বেশ আগে, সেটাও লক্ষণীয়। রোজা যেহেতু নির্দিষ্ট সময়ে আসে, তাই আগেভাগে পদক্ষেপ নেওয়াটা গুরুত্ববহ। কয়েকটি জরুরি পণ্য আমদানিতে জোর দিয়েছিল সরকার। ব্যবসায়ীদের সহায়তা জুগিয়েছিল কর-শুল্ক কমিয়ে এবং ব্যাংকিং সহায়তা বাড়িয়ে। তাতে নতুন আমদানিকারকও এসে ব্যবসা শুরু করেছেন।
দেশের কৃষি খাতও ভালো ‘পারফর্ম’ করছিল, বিশেষত শীতে। এটাকে বলা হয় উৎপাদন মৌসুম। এটি সফল হওয়ার পেছনে কেবল আবহাওয়ার সহায়তা নয়; সরকারের সহায়তাও ছিল। অন্তত অসহযোগিতার খবর পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় আলুর উৎপাদন অনেক ভালো হয়েছে এবার। তার প্রভাবে দাম গেছে পড়ে। রমজানে মূল মৌসুমের পেঁয়াজ উত্তোলন চলছে। তাতে এর দামও যাচ্ছে আরও কমে। গেল রমজানের তুলনায় এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের দাম এখন অর্ধেক কিংবা আরও কম। এ দুটি পণ্যই কিন্তু আমদানি করা হচ্ছিল। এখন এগুলো রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। তাতে যদি চাষিদের মুখে কিছুটা হাসি ফোটে। এ রমজানে তাদের কিন্তু পেঁয়াজ বেচে ছোলা, চিনি, খেজুর ইত্যাদি কিনতে হচ্ছে।