দুর্গম এলাকায় টহল বাড়াতে হবে

প্রথম আলো সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৩

বাংলাদেশে সড়ক, রেল কিংবা নৌ—কোনো পরিবহনই নিরাপদ নয়। অন্যান্য দেশে ট্রেনযাত্রাকে নিরাপদ ভাবা হলেও বাংলাদেশে যাত্রীদের চলাচল করতে হয় মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে। আর সড়কপথে যাত্রা মানেই জীবন হাতের মুঠোয় করে চলা। এক্সপ্রেসওয়েকে নিরাপদ ভাবা হলেও সাম্প্রতিক কালে সেখানেও একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে।


কয়েক দিন আগে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ঈশানবালায় মেঘনা নদীতে একটি জাহাজের সাতজনকে হত্যার ঘটনায় বাইরের কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। আটক জাহাজকর্মী আকাশ মণ্ডল স্বীকার করেছেন ক্ষোভ ও বঞ্চনা থেকেই তিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। ঘটনাটি মর্মান্তিক।


আবার নৌপথে একটি পণ্যবাহী জাহাজের সঙ্গে অন্য জাহাজের সংঘর্ষ কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রায়ই যাত্রী ও কর্মীদের প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি নৌপথে অহরহ চাঁদাবাজি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটছে; যা অনেক সময় প্রাণহানির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।




বৃহস্পতিবার প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, মেঘনা থেকে পদ্মা ও শীতলক্ষ্যা হয়ে বুড়িগঙ্গা পর্যন্ত বিস্তৃত নৌপথে পণ্যবাহী নৌযানে ডাকাতি ও চাঁদাবাজি কয়েক মাস ধরে বাড়ছে। গত চার মাসে কেবল শরীয়তপুর ও চাঁদপুরের বিভিন্ন স্থানে নৌপথে অন্তত ৩২টি ডাকাতির ঘটনার অভিযোগ করেছে দুই জেলার বাল্কহেড মালিক সমিতি। চাঁদপুর, শরীয়তপুর, মুন্সিগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে নৌপথের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন শ্রমিকেরা। মেঘনা ও পদ্মা নদী দিয়ে চট্টগ্রাম এবং দক্ষিণাঞ্চলের পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী নৌযান ঢাকা-নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করে। নদী দুটির বিভিন্ন সীমানায় অসংখ্য চর ও ডুবোচর রয়েছে। এসব চর ও ডুবোচরে দুর্বৃত্তরা অবস্থান নিয়ে রাতে নৌযানে আক্রমণ করে। চালক ও শ্রমিকদের জিম্মি করে ডাকাতি করে।


অবস্থা এতটাই নাজুক যে মালিকেরা ডাকাত ও দুর্বৃত্তের ভয়ে ১ ডিসেম্বর থেকে রাতের বেলায় কোনো নৌযান নদীতে না নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মালিকেরা। কেননা জাহাজ নোঙর করা অবস্থায় পেলেই ডাকাতেরা হানা দেয়। চাঁদপুর নৌযান মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ বলেন, ‘হামলাকারীরা ট্রলার ও স্পিডবোট নিয়ে জেলে সেজে এসে নৌযানগুলোতে উঠছে। আমরা হয়রানি ও পরবর্তী সময়ে হামলার ভয়ে মামলা করছি না।’


নৌ পুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ডাকাতি ও নৌযানে হামলার ঘটনা থামাতে এ অঞ্চলের নৌ পুলিশের ৯টি থানা ও ফাঁড়ি কাজ করছে। তাঁর এই বক্তব্যে মালিকেরা আশ্বস্ত হবেন বলে মনে হয় না। কেবল দক্ষিণাঞ্চল নয়, দেশের অন্যান্য এলাকায়ও নৌযানের কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় আছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও