হাসিনার পদত্যাগপত্রের তালাশ: ট্রমার লক্ষণ নাকি আওয়ামী পুনর্বাসন চেষ্টা

প্রথম আলো খাজা মাঈন উদ্দিন প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ২০:০৩

তাহলে তো ২০২১ সালে কাবুল ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া আফগানিস্তানের তালেবান-পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনিরও এখনো সে দেশের বৈধ শাসকই থাকার কথা!


ফিলিপাইনের নির্বাচনী ফলাফল (১৯৮৬) অগ্রাহ্য করা স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ মার্কোস, ইরানের বিপ্লব (১৯৭৯) ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভি এবং চীনের মূল ভূখণ্ডে মাও সে-তুংয়ের নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্টদের বিজয় (১৯৪৯) রুখতে না পারা রাষ্ট্রপ্রধান চিয়াং কাইশেক দেশত্যাগী হলেও কেন তাঁরা তাঁদের দেশে মরণোত্তর বৈধ শাসকের মর্যাদা পাবেন না?


আরও অনেকেই গণরোষ অথবা বিপ্লবের তোপে প্রাণ হাতে নিয়ে পদত্যাগ না করেই দেশ থেকে পালিয়েছিলেন। তাঁরা গদি ফিরে পেয়েছিলেন কি না, তা সম্ভবত আওয়ামী লীগের অভিযুক্ত সহিংসতার ‘গুরু’ নানক সাহেবরা জানেন না।


সম্ভবত সে কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসে ‘তিনি এবং তাঁরা’ দাবি করেছেন, শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী।


কয়েক দিন আগে বঙ্গভবনে অবস্থানরত হাসিনা-নিযুক্ত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন পলাতক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্রের কপি হাতে পাননি বলার পর আওয়ামী লীগের নৌকা যেন হালে পানি পায়।


শুরু হয় ‘হুক্কাহুয়া’। অন্যদিকে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি ওঠে।



সিনিয়র সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতি এই যে ‘গল্পখানি’ শুনিয়েছেন, তা শুধু তাঁর ৬ আগস্ট জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে হাসিনার পদত্যাগের স্বীকৃতিকেই মিথ্যা প্রতিপন্ন করে না, আইনি বিশ্লেষণেও তা অগ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়।


জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।’


এ সময় তিন বাহিনীর প্রধানেরা তাঁর পেছনে দণ্ডায়মান ছিলেন। পুরো জাতি সেই দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেছেন।


এরপর তিনি বলছেন, তাঁর কাছে নাকি পদত্যাগপত্র নেই। মিডিয়াতে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার খবর প্রকাশ পেল আর তা বঙ্গভবন থেকে হারিয়ে গেল! কী সাংঘাতিক ব্যাপার!


ইতিমধ্যে বেশ কিছু টেলিফোন আলাপের অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসেছে। সেসব অডিওতে শেখ হাসিনাকে কথা বলতে শোনা গেছে বলে ব্যাপকভাবে মনে করা হচ্ছে।


এসব টেলিকথোপকথন যে শেখ হাসিনারই, তা কর্তৃপক্ষ থেকে বা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত না করা হলেও এটি যে শেখ হাসিনারই কণ্ঠস্বর, সে বিষয়ে প্রায় কেউই সন্দেহ প্রকাশ করেননি। এমনকি আওয়ামী লীগের পক্ষও কেউ সন্দেহ প্রকাশ করেননি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও