শিক্ষকদের কেন টার্গেট করা হচ্ছে

www.ajkerpatrika.com চিররঞ্জন সরকার প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৬

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর দেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষা। আর সবচেয়ে বেশি মব জাস্টিসের শিকার হয়েছেন শিক্ষকেরা। যে যেভাবে পেরেছে, শিক্ষকদের ওপর ঝাল মিটিয়েছে। এখনো মেটাচ্ছে। হাসিনা সরকারের পতনের পর আন্দোলনকারী ও বিএনপি-জামায়াত সমর্থকদের সীমাহীন ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীর ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। লুটপাট করা হয়। এরপর ধীরে ধীরে ক্ষোভ কমতে থাকে।


আন্দোলনকারীরা ঘরে ফিরতে শুরু করেন। কিন্তু একশ্রেণির সুবিধাবাদী ও স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ছাত্রদের উসকে দেয় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। নতুন করে শুরু হয় মব জাস্টিস। আর এর অসহায় শিকার হন শিক্ষকেরা। পৃথিবীর আর কোনো দেশে শিক্ষকেরা এমন অপমান ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন কি না সন্দেহ! অবশ্য নানা ছুতোয় শিক্ষকদের অপমান ও নির্যাতনের ধারা আমাদের দেশে কয়েক বছর ধরেই চলছে। মনে পড়ছে নিকট-অতীতের কিছু ঘটনা। 


২০২২ সালের ১৮ জুন। কথিত এক ফেসবুক পোস্টের জের ধরে ধর্ম অবমাননার অভিযোগের গুজব ছড়িয়ে পুলিশের উপস্থিতিতেই কলেজের তখনকার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় পরানো হয় জুতার মালা। নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় জুতার মালা পরানো হয়েছিল হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা দিয়ে। সে সময় কলেজ ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিলেন নড়াইলের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। তাঁদের সঙ্গে ছিল ২০০ থেকে ২৫০ পুলিশ। স্বপন কুমার বিশ্বাস প্রাণে বেঁচেছিলেন। কিন্তু ঢাকার আশুলিয়ার শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার প্রাণেও বাঁচতে পারেননি। তিনি ২০২২ সালের ২৫ জুন এক ছাত্রের অতর্কিত হামলায় আহত হওয়ার পর হাসপাতালে মারা যান। 



এই দুই ঘটনার কিছুদিন আগে, ২০২২ সালের ২০ মার্চ মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার বিনোদপুর রাম কুমার উচ্চবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও গণিতের শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ আনা হয়। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। ১৯ দিন কারাভোগের পর জামিন পান তিনি। 


শ্যামল কান্তি ভক্তের কথাও মনে পড়ে যায়। তিনি নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ২০১৬ সালের ১৩ মে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে তাঁর ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। প্রধান শিক্ষক কান ধরে ওঠবস করছেন, আর জাতীয় পার্টির তৎকালীন সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান কয়বার তিনি ওঠবস করলেন, তা গুনছেন—এমন একটি ভিডিও সে সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। এ ঘটনার পর শ্যামল কান্তিকে চাকরি থেকে পদত্যাগে বাধ্য করে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি। 


মনে পড়ে ২০১৬ সালে বাগেরহাটের দুই শিক্ষকের কথা। ধর্ম সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগে চিতলমারীর হিজলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণপদ মহলী ও বিজ্ঞান শিক্ষক অশোক কুমার ঘোষালকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযোগ অনুযায়ী স্কুলের বিজ্ঞান শিক্ষক ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল ধর্ম সম্পর্কে কিছু মন্তব্য করেছেন বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ তোলে প্রধান শিক্ষকের কাছে। পরে প্রধান শিক্ষক বিজ্ঞান শিক্ষকের পক্ষ নেন বলে জানায় তারা। শিক্ষার্থীরা অভিভাবকদের জানালে তাঁরা পরদিন ২৫ এপ্রিল স্কুলে আক্রমণ করেন এবং একপর্যায়ে দুই শিক্ষককে লাইব্রেরিকক্ষে আটকে রাখেন। পরে উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও