You have reached your daily news limit

Please log in to continue


চাটুকারিতার সংস্কৃতি রুখতেই হবে

বঙ্গবন্ধুকে স্তাবকতায় ডুবিয়েছিলেন মোশতাক ও তাঁর দলের সমচরিত্রের অন্যরা। জিয়া, এরশাদ, খালেদা—তাঁদের চারদিকেও স্তাবকের সংখ্যা নেহাত কম ছিল না। আর সদ্য বিদায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর দলীয় অনুসারীদের মধ্যকার সম্পর্কের মূল বৈশিষ্ট্যই ছিল এরূপ যে, সেখানে অনুসারীগণ নিরন্তর তাদের নেত্রীকে স্তুতি ও স্তাবকতায় তন্ময় করে রাখতেন। এবং সেই স্তাবকতার ক্ষেত্রে যিনি যত দক্ষ ও নিপুণ ছিলেন, নেত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কও ছিল তত বেশি ঘনিষ্ঠ এবং সেটাই ছিল তাঁর কাছ থেকে আনুকূল্যপ্রাপ্তির মূল শর্ত। দলের ভেতরে শুরু হওয়া সেই স্তাবকতা পরবর্তী সময়ে দলের বাইরে অন্যান্য শ্রেণি ও পেশাজীবী গোষ্ঠীর মধ্যেও সমানভাবে বা তার চেয়েও উচ্চতর গতিতে ছড়িয়ে পড়েছিল।

ওপরে উল্লিখিত আচরণের ধারাবাহিকতায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের শিক্ষকগণ ক্লাসে পড়াতে গিয়ে বিষয়বস্তুসংশ্লিষ্ট অনেক কিছু ভুলে গেলেও টেলিভিশনের টক শোতে এসে সারাক্ষণই নেত্রীর স্তুতি ও বন্দনায় নিমগ্ন থাকতে এতটুকু ভুল করতেন না। দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) উদ্যোগে গত ১৬ জুলাই আয়োজিত সম্মেলনে এর নেতৃবৃন্দ বলেছিলেন, শেখ হাসিনাকে তাঁরা আবারও ক্ষমতায় দেখতে চান। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেই শেখ হাসিনার সরকার দরকার। এডিটরস গিল্ডের নেতৃত্বাধীন সাংবাদিকেরা গত ২৪ জুলাই শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে বলেছিলেন, তাঁরা শেখ হাসিনার সঙ্গে আছেন এবং তার জন্য প্রয়োজনীয় যেকোনো কিছু করতে প্রস্তুত। গত ২৭ জুলাই জাতীয় প্রেসক্লাবে একত্র হয়ে প্রায় একই কথা বলেছিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরামের সদস্যরাও।

তো যে ব্যবসায়ীরা আক্ষরিক অর্থেই নেচে-গেয়ে উল্লাস করে সুর তুলে মাত্র মাসখানেক আগে ‘উন্নয়নের স্বার্থে’ শেখ হাসিনাকে বারবার ক্ষমতায় দেখতে চেয়েছিলেন, সেই ব্যবসায়ীরাই ৭ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন ডেকে বলেছেন, ঘাড়ে যদি দুইটা করে মাথা থাকত, তাহলে হয়তো সেই চাপ (শেখ হাসিনার ক্ষমতার চাপ) তাঁরা উপেক্ষা করতে পারতেন। তার মানে হচ্ছে, তাঁদের ভাষায়—তাঁরা স্বেচ্ছায় নন, চাপে পড়ে শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় দেখতে চাওয়ার কথা বলেছিলেন। তাঁদের এই বক্তব্যকে যদি সত্য বলেও ধরে নিই, তাহলে স্বভাবতই প্রশ্ন আসে, ‘শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার’ বলে ১৬ জুলাই আক্ষরিক অর্থেই তাঁরা যে নৃত্য-গীত ও উল্লাস করেছিলেন, তার ব্যাখ্যা কী? ওটা করতেও কি শেখ হাসিনা তাঁদের বাধ্য করেছিলেন? আবার ৯ আগস্ট যে এফবিসিসিআইসহ তাঁদের মধ্যকার কেউ কেউ একযোগে দেশের প্রায় সব দৈনিক পত্রিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঢাউস আকৃতির বেঢপ ছবি দিয়ে বিজ্ঞাপন ছেপে তাঁকে অভিনন্দন জানালেন, সেটার মাজেজাই বা কী? ড. ইউনূস কি এটি করতে তাঁদের বাধ্য করেছিলেন বা এটি কি তাঁরা ঘাড় থেকে মাথা হারানোর ভয়ে করেছেন? আসলে শেখ হাসিনার আমলে বা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই সদ্য যাত্রাক্ষণে উল্লিখিত ব্যবসায়ীরা যা যা করেছেন, তার সবই হচ্ছে অবিমৃশ্য চাটুকারিতা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন