পরিবেশে গাছের গুরুত্ব এবং গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময়

ঢাকা পোষ্ট ড. মিহির লাল সাহা প্রকাশিত: ০৮ জুন ২০২৪, ১১:২৯

গাছপালা সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে বাতাস থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে আমাদের জন্য শুধু খাদ্যই সরবরাহ করে না, বরং আমাদের এবং অন্যান্য প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন সরবরাহ করে। গাছপালা ক্ষয় রোধ করে মাটি একসাথে রাখতে সাহায্য করে, যা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


গাছপালা পানি চক্রের একটি অপরিহার্য অংশ। তারা মাটি থেকে শিকড়ের মাধ্যমে পানি শোষণ করে পাতার মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলে ছেড়ে দিয়ে বায়ুমণ্ডলীয় জলীয় বাষ্প তৈরি করে এবং বৃষ্টিপাত ঘটাতে সাহায্য করে। ধারণা করা হয় যে, আকাশে মেঘ সৃষ্টির শতকরা ১০ ভাগ জলীয় বাষ্প আসে গাছের ইভাপোট্রান্সপিরেশন (Evapotranspiration) বা বাষ্পী প্রস্বেদনের মাধ্যমে।


শুধু তাই নয়, গাছপালা নদী, হ্রদ এবং স্রোতের মতো জলাধারকে স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। উদ্ভিদের শিকড় মাটির স্থিতিশীলতা বজায় রেখে ভূমিধস প্রতিরোধ করে এবং এই বাস্তুতন্ত্রকে অক্ষত রাখে। আজ বিশ্বের অন্যতম পরিবেশগত সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি হলো জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো। যার ফলে বায়ুমণ্ডলে উচ্চ স্তরের কার্বন-ডাই-অক্সাইড রয়েছে। গাছগুলো বাতাসের কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে এবং অক্সিজেন ছেড়ে দেয়। বাতাসের কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে বিধায় গাছ কার্বন সিংক বা কার্বন সংরক্ষণাগার হিসেবে কাজ করে উষ্ণায়ন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।


গাছের সবুজ পাতার আচ্ছাদন সূর্যরশ্মিকে আটকিয়ে আমাদের পরিবেশকে শীতল রাখতে সাহায্য করে। কিছুদিন পূর্বে স্মরণকালের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে তীব্র তাপদাহের সময় আপামর জনতা গাছের গুরুত্ব অনুভব করেছে। ভর দুপুরে তীব্র গরমের হাত থেকে রক্ষা পেতে খেটে খাওয়া মানুষগুলো গাছের ছায়াতলে বসে যেন হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে।


তীব্র তাপপ্রবাহের পর আঘাত হেনেছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। সেইখানেও এদেশের অন্যতম সম্পদ সুন্দরবনের সবুজ গাছাপালা বুক চিতিয়ে রক্ষা করার চেষ্টা করেছে আমাদের। রেমালের তাণ্ডবে ও জলোচ্ছ্বাসে বনের বন্যপ্রাণী, গাছপালাসহ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও রক্ষা পেয়েছি আমরা। সুন্দরবন জীববৈচিত্র্যে ভরা একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল।


পরিবেশের সাথে জীববৈচিত্র্য ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যখন জীববৈচিত্র্যের সমস্যা হয় তখন মানব সভ্যতা হুমকির সম্মুখীন হয়। জীববৈচিত্র্যের অন্যতম অংশীজন উদ্ভিদ, প্রাণী এবং অণুজীবের মধ্যে রয়েছে একটি নিবিড় মিথষ্ক্রিয়া। জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি আমাদের স্বাস্থ্যসহ জীবনযাত্রা হুমকির মুখে ফেলেছে, বেড়েছে প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রামিত রোগ প্রসারিত হওয়ার আশঙ্কা।


নগরায়ন পরিবেশের নিউক্লিয়াস তথা বাস্তুতন্ত্রকে ঋণাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে। ‘বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে’। এই সত্য বিবেচনায় বন্য প্রাণীদের জন্য একটি নিরাপদ প্রাকৃতিক আশ্রয় দিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত বনভূমির গাছপালাকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। শহরের চারপাশে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগিয়ে বন্যপ্রাণীর জন্য একটি নিরাপদ আবাসস্থল তৈরি করা এখন সময়ের দাবি। ৪

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও