প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য উপযুক্ত পরিকল্পনা প্রয়োজন

www.ajkerpatrika.com স্বপ্না রেজা প্রকাশিত: ২৪ মে ২০২৪, ১২:১৯

উন্নয়ন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে সকল স্তরের জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি হয়ে পড়ে। কাউকে পেছনে ফেলে, পেছনে রেখে উন্নয়ন কখনোই সম্ভব হয় না। বর্তমান বাংলাদেশে যে উন্নয়নের ধারা, তা প্রশংসিত হচ্ছে বিশ্বজুড়ে, আলোচনা-সমালোচনা যাই-ই থাকুক। বাংলাদেশ এখন অনেক দেশের মানুষের কাছে রোল মডেল হয়ে উঠেছে। প্রযুক্তির ব্যবহার, আধুনিকায়নের বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ, পরিকল্পনা বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ থেকে সহজতর করেছে। প্রচলিত অর্থে মানবমর্যাদা বেড়েছে। বিভিন্ন ধরনের নাগরিক সুবিধা ব্যক্তির দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে বিধায় জনমনে স্বস্তির উপস্থিতি দেখা যায়। যদিও সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টি ততটা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নিশ্চিত হয়নি এবং না হওয়ার কারণও রয়েছে বেশ। যেমন—যথাযথ আইন প্রয়োগ না করা, দায়িত্বে অবহেলা, দুর্নীতির মতো বিষয়গুলো রয়ে গেছে। যা হোক, ভালোমন্দ মিলিয়ে দেশ এগোচ্ছে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। কেউ অস্বীকার করলে তার উদ্দেশ্য ভিন্ন বলে মনে করা যেতেই পারে।


শুরুতে বলছিলাম, উন্নয়নে সবার অংশগ্রহণ জরুরি। বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ডে ব্যক্তি, গোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হয়। বর্তমান বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্ম ও শ্রেণি-জাতির মানুষের, তথা বৃহৎ ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠা, নাগরিক সুবিধাভোগের ব্যবস্থার প্রচলন ঘটেছে এবং সেটা সাম্প্রদায়িক শক্তির হুমকি-ধমকির পরও। আইন প্রণয়ন হয়েছে সবার অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। সচেতনতারও কমতি নেই। ধর্ম, বর্ণ, জাতিভেদে সব শ্রেণির মানুষের সামাজিক ও মানবমর্যাদা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ বর্তমান সরকার ও সরকারপ্রধানের এক অভাবনীয় চিন্তা-চেতনা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টারই ফলশ্রুতি—এমন কথা নির্বিঘ্নে বলা যায়। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অধিকার ও সুরক্ষার জন্য বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ প্রণয়ন করে, যেখানে বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি যেন রাষ্ট্রের সব সুবিধা ভোগ করতে পারে এবং তার মর্যাদা ও নিরাপত্তা সুরক্ষিত হয়। এখানে সব ধরনের প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আবার স্নায়ু বিকাশজনিত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষা আইন, ২০১৩ প্রণয়ন করেছে সরকার। তাদের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। উদ্যোগ গ্রহণে বলা যায়, সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবান্ধব, সন্দেহ নেই। কিন্তু আইন প্রণয়নের পর এক দশকের বেশি সময়ে আদতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য কী করা হয়েছে বা হচ্ছে, তা পর্যালোচনা করা দরকার। সমাজের মূলধারায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি, অন্তর্ভুক্তির সংখ্যা এক কথায় বলে দিতে পারে যে, আদতে তারা সমাজের কোথায়, কীভাবে অবস্থান করছে।


আর সবার মতো প্রতিবন্ধী ব্যক্তিও বেঁচে থাকার মেধা, শক্তি নিয়ে জগতে ভূমিষ্ঠ হয়। সৃষ্টিকর্তা সব প্রাণীকেই বেঁচে থাকার, টিকে থাকার শক্তি, মেধা ও সাহস দিয়ে জগতে পাঠিয়ে দেন। প্রত্যেক প্রাণীকেই প্রকৃতির সহায়তায়, অন্য প্রাণীর সহায়তায় বেড়ে উঠতে হয়। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই সহায়তার বেশি প্রয়োজন পড়ে। কারণ, তারা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এবং বিশেষ বৈশিষ্ট্য নিয়ে জগতে আবির্ভূত হয়। একটা সময়ে সমাজে মনে করা হতো, ব্যক্তির প্রতিবন্ধিতা মূলত জিন-পরির আছর। ধর্মীয় রীতিনীতিতে তাকে সুস্থ করার পাঁয়তারা চলত। অসচেতন অভিভাবক সন্তানের এই অবস্থাকে মেনে নিতে পারতেন না। দ্বারস্থ হতেন কুসংস্কারাচ্ছন্ন ব্যক্তিদের আস্তানায়। বলা যায়, ধীরে ধীরে সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে পুরোপুরি না হলেও বেশ কিছুটা সেই আঁধারাচ্ছন্ন যুগের অবসান ঘটেছে। এই অবসানের নেপথ্যে সক্রিয় ছিলেন এবং আছেনও প্রথমত অভিভাবকেরা, তারপর সমাজ উন্নয়নকর্মী এবং রাষ্ট্র। অভিভাবকদের উদ্যোগই এই বিশেষ জনগোষ্ঠীর সদস্যদের ঘর থেকে বের হতে সাহস ও শক্তি জুগিয়েছে। সমাজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাদের প্রবেশাধিকার ঘটেছে। রাষ্ট্র বুঝেছে, এই বিশেষ জনগোষ্ঠী দেশের সংবিধানের আওতাভুক্ত। এদের নিয়েই এগোতে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও