দুটি টাকার বিনিময়ে আমরা শিশুকে কিনে নিতে চাইছি দাস হিসেবে
গল্পটা পুরোনো, কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ। যতোই দিন যাচ্ছে, ততোই এর গুরুত্ব বাড়ছে বলে মনে হচ্ছে। আমাদের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে নিয়োগ পেলো নূরজাহান। আমি তখন ক্লাশ ফোর-ফাইভে পড়ি। কী একটা কারণে আমি নূরজাহানের উপর বিরক্ত হয়ে ওকে ধাক্কা মেরেছিলাম। আম্মা দেখে আমাকে বকা দিয়ে জানতে চাইলো, কেন আমি নূরজাহানের গায়ে হাত তুললাম। যদিও নূরজাহান বলতে থাকলো “খালাম্মা কিছু হইবো না। ওতো ছোট মানুষ, রাগ হইয়া করছে।” কিন্তু আব্বা-আম্মার কাছে আমার এই আচরণ খুবই গর্হিত অপরাধ বলে মনেহল।
আব্বা আমাকে নূরজাহানের কাছে ক্ষমা চাইতে বললো। কারণ নূরজাহান বয়সে বড়। শুধু দুটো খাবারের জন্য ও আমাদের বাসায় কাজ করতে এসেছে। অভাবের কারণে অন্যের বাসায় কাজ করাটা খুব কষ্টের। আর কড়া স্বরে বলে দিলো এরপর থেকে আমি যেন কখনো বাসার গৃহকর্মীর গায়ে হাত না তুলি। কোনো অভিযোগ থাকলে আম্মাকে জানাই। সেই নূরজাহান পরে একটি বেসরকারি সংস্থায় কুকের চাকরি করতো। অনেকদিন পরে একদিন দেখা হলো। সেদিনও নূরজাহান বলেছিল, তোমার বাবা-মায়ের সেইদিনের শিক্ষা আমি কোনদিনও ভুলুম না।
- ট্যাগ:
- মতামত
- পেশাজীবন
- যৌন হয়রানি
- পেশাজীবী