পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীরও লজ্জা লাগে
সম্প্রতি আমি দুটি বই পড়েছি। বই দুটি পুরোনো। কিন্তু আমি পড়েছি বিলম্বে। লেফটেন্যান্ট জেনারের (অব.) এএকে নিয়াজির লেখা ‘দ্যা বিট্রেয়াল অব ইস্ট পাকিস্তান’ এবং মেজর জেনারেল (অব.) খাদিম হোসেন রাজার লেখা ‘এ স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওউন কান্ট্রি’। একাত্তর সালে গণহত্যার সময় দুজনই তখনকার পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। নিজেদের বাঁচিয়ে তারা দোষ চাপিয়েছেন কখনো রাজনীতিবিদদের ঘাড়ে, কখনো অন্য সেনানায়কদের (আসলে খলনায়ক) ঘাড়ে।
ইশারা-ইঙ্গিতে দুজনই স্বীকার করেছেন, তখনকার পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের ওপর দিনের পর দিন বঞ্চনা আর নির্যাতনের কারণেই পাকিস্তান ভেঙ্গে স্বাধীন হয়েছিল বাংলাদেশ। আসলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লুকিয়ে ছিল পাকিস্তানের জন্মের ইতিহাসেই। দুইশ বছরের ব্রিটিশ রাজের পর ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে স্বাধীন হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠের জন্য ভারত আর মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠের জন্য পাকিস্তান। সেই পাকিস্তানের দুটি অংশ ছিল পূর্ব পাকিস্তান আর পশ্চিম পাকিস্তান। ধর্ম ছাড়া দুই পাকিস্তানে আর কোনো মিল ছিল না। শিক্ষা, সংস্কৃতি, খাদ্যাভ্যাস, ঐতিহ্য সবকিছুই ছিল আলাদা।