মহাসড়কে টাকায় ঘোরে অবৈধ যানের চাকা

সমকাল প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৮

চলাচলের অনুমোদন না থাকলেও মহাসড়কে চাঁদায় চলছে অটোরিকশা, ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা, নছিমন, করিমনের মতো যানবাহন। ধীরগতির এসব গাড়ি দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হলেও বিকল্প না থাকায় যাত্রীরা এসব যানবাহনের ওপর নির্ভরশীল। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে পুলিশ, নেতারা টাকা নিয়ে মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলতে দেন। লাখ লাখ চালক-শ্রমিকের জীবিকার প্রশ্নে সরকারও এসব যান বন্ধে কঠোর হয় না।


সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারাদেশে নিবন্ধিত অটোরিকশার সংখ্যা ৩ লাখ ২২ হাজার ৫৮৯। অনিবন্ধিত অটোরিকশার সংখ্যা কারও জানা নেই। সংসদে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া হিসাবে ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইকের সংখ্যা ৪০ লাখ। হাইকোর্টের রায়ে নিষিদ্ধ শ্যালো মেশিনে স্থানীয়ভাবে তৈরি নছিমন, করিমন, ভটভটি, পাখি, আলম সাধুর সংখ্যা কত, তা-ও অজানা। সিএনজি ও ডিজেলচালিত অটোরিকশা নিবন্ধন পেলেও ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান, ইজিবাইকসহ অন্য অবৈধ যানবাহনের জন্য এ সুযোগ নেই। 


২০১৫ সালের ১ আগস্ট ২৭ জাতীয় মহাসড়কে অটোরিকশাসহ সব ধরনের ধীরগতির যান চলাচল নিষিদ্ধ করে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়ক বাদে অন্যত্র চলাচলের অনুমতি দিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইকের জন্য নীতিমালার খসড়া করা হয়েছে।


নিবন্ধন ও চলাচলের অনুমোদন না থাকার সুযোগে এসব গাড়ি থেকে চলছে দেদার চাঁদাবাজি। আইন অনুযায়ী, অযান্ত্রিক রিকশা-ভ্যানের নিবন্ধন দেয় সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ। তবে স্থানীয় সরকারের এই প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান, ইজিবাইকেরও নিবন্ধন দিচ্ছে শহরের অভ্যন্তরীণ এবং গ্রামীণ সড়কে চলতে। তবে এগুলো মহাসড়কে চলাচল করতে হলে দিতে হয় চাঁদা। 


টাকা পাওয়ায় আটকায় না আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। ফলে মহাসড়কে ট্রাফিক নিয়মের ধার ধারে না এসব যান। নেই চালকের লাইসেন্স। চলে উল্টোপথে। ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও প্রাণহানি হচ্ছে। ধীরগতির যানবাহন চলাচলে যেসব এলাকায় সরকার হাজার কোটি টাকা খরচ করে আলাদা লেন করেছে, সেগুলো দখল হয়ে গেছে। ইজিবাইক, অটোরিকশা বাস-ট্রাকের সঙ্গে চলছে মহাসড়কে; মরছে মানুষ। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও