সম্মান ও সংবর্ধনা

www.ajkerpatrika.com বাসব রায় প্রকাশিত: ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:২৯

আমরা ভদ্রতার খাতিরে অনেক কিছু এড়িয়ে চলি। এমনকি অনেক সময় সঠিক পর্যবেক্ষণকেও পাত্তা দিই না। সামাজিক বা পারিপার্শ্বিক দায়বদ্ধতা থেকে আমরা নিজেদের বাঁচিয়ে চলতে চাই। কিন্তু কখনো কখনো অপ্রিয় সত্যকে অস্বীকার করার উপায় থাকে না। কবি-সাহিত্যিকদের সমাজের বোদ্ধা মানুষের সঙ্গে তুলনা করা হয় এবং অনেকাংশেই এটা ঠিক। কবি-সাহিত্যিকেরা চলমান সময় এবং জীবনবোধের অনুপম আলেখ্য প্রকাশ করে নান্দনিক ভঙ্গিতে, যা পৃথিবীসুদ্ধ গ্রহণযোগ্য একটি বিষয়।জীবনকে সূক্ষ্মভাবে উপস্থাপিত করতে পারেন কবি বা সাহিত্যিকেরাই।


বর্তমান সময়েও কবি আছেন, কবিতা আছে এবং সাহিত্যচর্চা অবিরাম ধারায় বহমানও আছে। কিন্তু কিছু প্রতিবন্ধকতা কবি ও কবিতার স্বকীয়তাকে কোথাও কোথাও নষ্ট করে ফেলছে, যা হয়তো আমাদের অবচেতন মনেই ঘটে চলেছে। যে কারণেই হোক, কবি-সাহিত্যিকেরা দিন দিন রাজনৈতিক বা আমলাতান্ত্রিক ফাঁদে আটকে যাচ্ছেন। ফলে কবি ও কবিতা তার স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলতে বাধ্য হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সুবাদে লেখালেখির প্রসার ব্যাপকভাবে ঘটছে। তবে ভাব ও ভাষার দক্ষতা যে বৃদ্ধি পেয়েছে, তা জোর দিয়ে বলা যায় না। একটা অস্পষ্ট অথচ খুব চেনাজানা অস্থিরতা চলছে, যা ডিঙিয়ে চলাও কবি-সাহিত্যিকদের জন্য কঠিন ব্যাপার। ক্রমেই কবি-সাহিত্যিকেরা কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন। অবাক হতে হয় তখন, যখন দেখি আমলাতান্ত্রিক ফাঁদে কবির কলম চব্বিশ তলা ভবনে চানাচুর চিবোয়! ভবনের নিচে উদীয়মান প্রজন্ম হা-পিত্যেশ করে অপেক্ষায় থাকে। তোষামোদি করে অথবা তোষামোদকারীদের পৃষ্ঠপোষক হয়ে কবি বা সাহিত্যিক হওয়া বেশ সহজ ব্যাপার এখন।


কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে নামকরা কিছু হওয়ার কামনা থেকেই অনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা সত্যিই যন্ত্রণাদায়ক। নীরবভাবে নিষ্ঠা ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে সাহিত্যে নিবেদিত থাকার মানসিকতা দ্রুতলয়ে হ্রাস পাওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। লেখালেখিতে দলবাজির প্রভাব বিশেষভাবে লক্ষণীয়, যেটা কখনো কখনো সাহিত্যের আদর্শকে ধ্বংস করে ফেলছে। জগাখিচুড়ি সংবর্ধনা অনুষ্ঠান এবং উপঢৌকন যথাযথ না হওয়ায় ‘মান’ শব্দটি সংকুচিত হয়ে পড়ছে। সাহিত্য-সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠান আর বিয়েবাড়ির ডেকোরেশন যখন প্রতিযোগিতায় নামে, তখন বুঝতে হবে সাহিত্যের অবস্থান নিশ্চিত মৃতপ্রায়। জাতির বিবেক বলে পরিচিত সাহিত্যিক যখন হাত পেতে পুরস্কার নিতে হয় আমলাদের স্যালুট দিয়ে, তখন ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ প্রবাদটি প্রাণ ফিরে পায় পুনরায়। যে মাথা কোথাও নিচু হওয়ার কথা ছিল না, সেই মাথা এখন দেদার বিক্রি হতে দেখা যায়। অথচ আমরা এখন কাঁচুমাচু আর জবুথবু হয়ে বসে থাকা কবিদের বেশি দেখতে পাচ্ছি। এ জন্য বলা যায়, ‘ইজাদারকে মনুষ্য বলিয়া ঠাওরানো বেশ শক্ত বলিয়াই মনে হয়!’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও