![](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2023March/monaem-20231226090927.jpg)
নির্বাচন কী উৎসবমুখর হবে?
৭ জানুয়ারি দেশে যে একটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তাতে সন্দেহ নেই। তবে ওই নির্বাচনের পর দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কেমন হবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যায় না। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার সব চেষ্টাই ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে। তবে বিএনপি নির্বাচনে না থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ কম। আবার বিএনপি নির্বাচন প্রতিহত করার যে আন্দোলন করছে, তাতেও মানুষের আগ্রহ তেমন আছে বলে মনে হচ্ছে না। মানুষ এটা ধরেই নিয়েছে যে নির্বাচন হবে এবং তাতে আওয়ামী লীগই বিপুলভাবে জয়ী হবে। শেখ হাসিনা আবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন।
গত ২০ ডিসেম্বর সিলেট থেকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় আলিয়া মাদরাসা মাঠে বিশাল নির্বাচনী জনসভার মঞ্চে নৌকার প্রার্থীদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও ছিলেন। এই স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও আওয়ামী লীগেরই।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেশিরভাগ আসনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের নৌকার সঙ্গে একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে। দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায়, দুই শতাধিক আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। যাদের মধ্যে আছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়া বর্তমান ২৮ জন সংসদ সদস্য। স্বতন্ত্র তালিকায় আছেন জেলা, মহানগর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা, জেলা ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা। স্থানীয়ভাবে এসব নেতার অনেকেই প্রভাবশালী ও জনপ্রিয়।
যদিও নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪৪টি দলের মধ্যে ২৭টি রাজনৈতিক দল এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। তবে জাতীয় পার্টি ছাড়া অন্য রাজনৈতিক দলগুলো বেশকিছু আসনে নিজ নিজ দলের প্রতীকে প্রার্থী দিলেও সামান্য কিছু আসন ছাড়া কোথাও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো অবস্থা নেই তাদের। জাতীয় পার্টিও সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করেই নির্বাচনে নেমেছে। এমনকি জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর নির্বাচনী পোস্টারেও ‘আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী’ লেখা হয়েছে।