কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

নেতানিয়াহুকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে বিপাকে বাইডেন

প্রথম আলো হাসান ফেরদৌস প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭:১৩

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজার চলতি যুদ্ধ নিয়ে উভয় সংকটে পড়েছেন। খোদ তাঁর দল ডেমোক্রেটিক পার্টির একাংশ এখন ইসরায়েলের প্রতি তাঁর নিঃশর্ত সমর্থনকে প্রত্যাখ্যান করছে। আন্তর্জাতিকভাবেও তিনি একাকী হয়ে পড়ছেন। অন্যদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে তাঁর মতভেদ কার্যত প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। বাইডেন চান, গাজার যুদ্ধ শেষ করে ইসরায়েলি বাহিনী দ্রুত নিজ সীমানায় ফিরে যাক। কিন্তু নেতানিয়াহু চান গাজায় স্থায়ীভাবে ইসরায়েলি সামরিক অবস্থান পোক্ত করতে। এটি তাঁর রাজনৈতিক ভরাডুবি থেকে বাঁচার একটি ঘুঁটি হতে পারে।


বিবির পাশে বাইডেন


গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামাসের অভাবনীয় হামলার পর প্রথম যে বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ান, তিনি হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি আজীবনই ইসরায়েলপন্থী। এটি শুধু তাঁর রাজনীতি নয়, তাঁর ধর্মীয় বিশ্বাসেরও একটি অংশ—এমন কথা তিনি নিজেই বলেছেন। নিজে ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের হলেও তিনি বিশ্বাস করেন, ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলকে টিকিয়ে রাখা তাঁর দায়িত্ব। টাইম সাময়িকীর ভাষায়, বাইডেনই হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ‘সবচেয়ে বড় ইসরায়েলপন্থী প্রেসিডেন্ট’।


বাইডেনের এই অবস্থান তাঁকে ইসরায়েলে অসম্ভব জনপ্রিয় করলেও নিজ দেশে তিনি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ইসরায়েলের বেপরোয়া বোমাবর্ষণের ফলে বেসামরিক মানুষ, বিশেষত নারী ও শিশু, বিপুল সংখ্যায় হতাহত হচ্ছে। এসব খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরেই ব্যাপক প্রতিবাদ ওঠে। প্রতিবাদ ওঠে বিশ্বজুড়ে।


জাতিসংঘের ভেতরে অবিলম্বে ‘মানবিক’ যুদ্ধবিরতির দাবি উঠলে বাইডেনের নির্দেশে শুধু সে প্রস্তাবে ভেটো দেওয়া হয়নি, হামাস নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির কোনো প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর এই অবস্থান শুধু আরব ও বৈশ্বিক দক্ষিণের সরকারগুলোকে নয়, যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপীয় মিত্রদেরও অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। ভেতরের খবর জানেন এমন সূত্রগুলো জানাচ্ছে, হোয়াইট হাউসের এই অনড় অবস্থান নিয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ড তাঁর অসহিষ্ণুতা প্রকাশ করেছেন।


বিষয়টি বাইডেনের নজর এড়িয়ে গেছে, তা নয়। তিনি ইসরায়েলের কথা উল্লেখ করে এক ঘরোয়া বৈঠকে মত প্রকাশ করেন, বেপরোয়া বোমাবর্ষণের কারণে বিশ্বে ইসরায়েলের পক্ষে সমর্থন কমে আসছে। তাঁর এ কথা যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য। যুক্তরাষ্ট্র পাশে আছে বলেই ইসরায়েল এমন বেপরোয়া অবস্থান নিতে পেরেছে।


আন্তর্জাতিক আইনে নিষিদ্ধ জানা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে হোয়াইট ফসফরাস জাতীয় বিস্ফোরক সরবরাহ করেছে। শুধু কি তাই, ইরান বা লেবাননের হিজবুল্লাহ যাতে টুঁ–শব্দ না করতে পারে, সে জন্য তড়িঘড়ি করে যুদ্ধবিমানবাহী দুটি নৌযান পাঠিয়েছে, সঙ্গে ৭০০ নৌসেনা। কংগ্রেসকে এড়িয়ে জরুরি ভিত্তিতে ট্যাংকে ব্যবহারের জন্য গোলাবারুদ পাঠানো হয়েছে। ফলে দেখা যাচ্ছে, এই যুদ্ধ যতটা ইসরায়েলের, ততটা যুক্তরাষ্ট্রেরও।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও