কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বাইডেনের মধুচন্দ্রিমায় অমাবস্যার হাতছানি

দেশ রূপান্তর রায়হান আহমেদ তপাদার প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:১৭

গাজায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ ও নির্বিচার হামলায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনির প্রাণহানি নিয়ে সুর পাল্টাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নিজের দল ও সমর্থকদের মধ্য থেকে অব্যাহত চাপের মুখে বাইডেন তার অবস্থান বদলাতে বাধ্য হচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রথম দিকে ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর সংখ্যা যখন দ্রুত বাড়ার খবর আসছিল তখন এ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছিল বাইডেনকে। হামলা শুরুর দুই সপ্তাহ পর গত ২৫ অক্টোবর বাইডেন বলেছিলেন, ‘ইসরায়েলি হামলায় নিহতের যে সংখ্যা আমাকে জানানো হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের দেওয়া সেই হিসাবে আমার ভরসা নেই। আমি নিশ্চিত নিরীহ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। তবে যুদ্ধ বাধালে যে মূল্য চোকাতে হয় এটা হচ্ছে তাই-ই।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই মন্তব্য প্রকাশের পর বেশ বিপাকে পড়েন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অনেকের মতে, গাজায় যুদ্ধ বিরতির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে যে চাপ বাড়ছে, তাতে নতি স্বীকার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বাইডেন হয়তো ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত ঘিরে নিজের জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ার ভয়ও পেয়েছেন। সম্প্রতি এক্সিওস নামের সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইটে অলাভজনক সংস্থা আরব-আমেরিকান ইনস্টিটিউটের একটি পরামর্শ তুলে ধরা হয়। তাতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় যুক্তরাষ্ট্রের আরব বংশোদ্ভূত জনগোষ্ঠীর মধ্যে বাইডেনের জনপ্রিয়তায় নাটকীয় ধস নেমেছে। এ বিষয়ে ইহুদি ধর্মযাজক রায়ে আবিলেয়াহ বলেন, ‘সম্ভবত জনগণের আন্দোলন ও গণতন্ত্র কাজ করার কিছু ইঙ্গিত দিচ্ছে। নির্বাচিত নেতাদের কাজ হলো তাদের নির্বাচনী এলাকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করা, যারা গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে আওয়াজ তুলেছেন এবং যারা এই জঘন্য সহিংসতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এই সহিংসতা আমরা মোবাইলে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখছি, যেমনটি আমরা ভিয়েতনাম যুদ্ধের সহিংসতা দেখেছিলাম।’


সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে বাইডেনকে এমন একজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট মনে হয়েছে, যিনি নিজের নৈতিকতা, ইসরায়েলের প্রতি দীর্ঘদিনের সমর্থন এবং নির্বাচনের আগ দিয়ে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান শক্ত করার মতো বিষয়গুলো সামাল দিতে গিয়ে চাপে পড়েছেন। ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে- প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেনের মেয়াদকালে অন্যান্য বিষয়ের চেয়ে গাজা সংঘাত কীভাবে মার্কিন প্রশাসনকে বেশি নাড়া দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ মুসলিম নেতার অভিযোগের মুখে বাইডেন বলেছিলেন, ‘আমি দুঃখিত। আমি নিজেই হতাশ। ভবিষ্যতে ভালো করার চেষ্টা করব।’


বাইডেনের নীতি নিয়ে হোয়াইট হাউজে বিভক্তির খবর সম্প্রতি প্রকাশ করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। এতে বাইডেনের নীতি নিয়ে তার দীর্ঘদিনের সমর্থকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভের কথা জানানো হয়। এমনকি হোয়াইট হাউজের অনেক তরুণ, বিশেষ করে আরব ও মুসলিম বংশোদ্ভূত কর্মীরা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের জন্য কাজ করছেন, তার প্রতি তারা সন্তুষ্ট নন। এমনই এক পরিস্থিতির মধ্যে গাজা সংঘাত নিয়ে বাইডেনের সুর বদলেছে। প্রথম দিকে তিনি যা বলেছিলেন, সেভাবে ইসরায়েলের পক্ষে আগে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেননি। পরে এসে সেই বাইডেনই গাজায় মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি ও যুদ্ধবিরতির পক্ষে কথা বলছেন। হোয়াইট হাউজ এটাও পরিষ্কার করে দিয়েছে যে তারা দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানকে সমর্থন করে না। অনেকেই বলাবলি করছেন যে বাইডেনের দিন শেষ হয়ে আসছে। তবে বাইডেনের টুইটে ইসরায়েলের প্রতি তার সমর্থন হালকা হয়নি বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যম জিউস ইনসাইডারকে বলেন, বাইডেন বোঝাতে চেয়েছেন, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চলে আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠার আশা ত্যাগ করতে পারি না। হোয়াইট হাউজের এই বক্তব্য আরও বিভ্রান্তি তৈরি করেছে বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক দল জাস্টিস ডেমোক্র্যাটসের নেতা উসামাহ আন্দ্রাবি। তিনি বলেন, ডেমোক্রেটিক মতাদর্শের লোকজন বাইডেন প্রশাসনের কাছে যুদ্ধবিরোধী ও শান্তির পক্ষের পদক্ষেপ চায়। তবে হোয়াইট হাউজ তা সামান্যও করে দেখাতে পারেনি। ডানপন্থিদের চাপের কারণে নিজের ভোটারদের বড় অংশের কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন বাইডেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও