ভবিষ্যতের রাজনীতি অনিশ্চিত অর্থনীতি

দেশ রূপান্তর প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:১৪

অস্বীকার করার উপায় নেই যে, নীতি, স্বস্তি ও পরিবেশগত স্থিতিশীলতা অর্থনৈতিক সুস্থতা ও সমৃদ্ধির জন্য জরুরি। আর এই স্থিতিশীলতার ভিত নির্মাণ, তাকে সুস্থ-সবল করতে বা রাখতে যত্ন ও প্রযত্ন প্রদানের দায়দায়িত্ব ক্ষমতা ও ক্ষমতার বাইরের সবার। গণতন্ত্র যেমন, অর্থনীতিও তেমন সবার। প্রতিপক্ষতায়, পারস্পরিক দোষারোপে অর্থনীতির ক্ষয়ক্ষতি সাধন কারোরই কাম্য নয়। মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর প্রত্যাশায় শিশু হাত-পা ছুড়ে দাবি জানাচ্ছে, সবার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে, তার এই চিৎকার ও হাত-পা দাবানিতে আশপাশে রাখা বা থাকা কাঁচের তৈজসপাত্র ভাঙার সুযোগ সৃষ্টি করে প্রকারান্তরে ওই শিশুকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে দুটি উদ্দেশ্য হাসিল হয়  এক. শিশুটির চরিত্র হরণ করে তাকে আরও দুর্বিনীত হতে দেওয়া ও পরিচয় সংকটে ফেলা; দুই. এই ভাঙচুরকে দেখিয়ে নিজেদের সার্বিক উন্নয়ন ব্যর্থতার দায় চাপানোর সুযোগ গ্রহণ। কর্তা বলতেই পারেন আমি ঘরকে জুতসই সাজাতে চেয়েছিলাম, কিন্তু এই কাঁদুনে শিশুর জন্য পারলাম না। দেশভাগ পরিস্থিতিতে রচিত অন্নদাশংকর রায়ের সেই রাজনৈতিক ছড়াটির কথা মনে পড়ে গেল, ‘তেলের শিশি ভাঙলো বলে খুকুর পরে রাগ করো, তোমরা যেসব বুড়ো খোকা ভারত ভেঙে ভাগ করো।’ বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে যতই করোনা, রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের যুদ্ধ এবং দেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে গোলযোগ বিশৃঙ্খলার পরিবেশ উদ্ভূত বলে প্রচার পাক না কেন, বাংলাদেশের মতো অতি সম্ভাবনাময় উন্নয়নশীল অর্থনীতি দুর্বল থেকে দুর্বলতর হওয়া শুরু হয়েছে নানান কারণে, করোনার আগে থেকেই। এই মুহূর্তে যা দৃশ্যমান হচ্ছে তাতে প্রতীয়মান হয়, ভবিষ্যতের রাজনীতি অর্থনীতির অগ্রযাত্রাকে আরও অনিশ্চিত করে তুলবে। অর্থনীতির অধোগতিকে সামাল দেওয়া দরকার। একটি অর্থনীতি সুস্থ, সবল ও গতিশীল থাকার সূচকগুলোর ব্যারোমিটার যেভাবে ওঠানামা করছে তা ক্রমে হিমাংকের দিকেই চলে যাচ্ছে। 


এনবিআর (রাজস্ব আহরণ), বাংলাদেশ ব্যাংক (অর্থবাজার তথা ব্যাংকিং সেক্টর), সিকিউরিটিস একচেঞ্জ কমিশন (পুঁজিবাজার), বাণিজ্য মন্ত্রণালয় (দ্রব্যমূল্য তদারকি), বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের মতো নিয়ন্ত্রক ও পোশাক শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সাধ্যমতো চেষ্টা চালালেও বল ও ব্যাটের সমন্বয় কেন হচ্ছে না? ক্ষমতালোভী রাজনৈতিক অস্থিরতায় অর্থবহ উন্নয়ন টেকসই হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। উন্নয়ন ভাবনায় স্বার্থবাদী লুটেরা উপাদানের বাহুল্যতায়, বল্গাহীন দুর্নীতির অনুপ্রবেশে, জাতীয় চেতনাকে দলীয় চিন্তা ও স্বার্থবাদিতার নিগড়ে নিক্ষেপের কারণে, ‘যা কিছু হারায় কেষ্টা বেটাই চোর’ ধরনের আস্থাহীন পরিবেশ সৃষ্টির সুযোগ মিলছে। উন্নয়নকে মন্দ বিনিয়োগ সাব্যস্ত হওয়ায় বা করায় তাতে অর্থনীতিতে যে সক্ষমতা গড়ে ওঠার কথা তার হিসাব মেলানো যাচ্ছে না। আয় বৈষম্য বৃদ্ধি এখন সবখানে বুমেরাং হিসেবে ফিরছে। কিছু দেশ রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অর্থনৈতিকভাবে অনেকখানি পিছিয়ে পড়েছে। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, সুদান, সোমালিয়া ও আফগানিস্তানের মতো পরিস্থিতি তৈরি হোক, কোনো দেশই সেটি চায় না। এসব দেশের কর্তৃত্ববাদী বা ফ্যাসিবাদী চেহারা উন্মোচিত  হতে অনুঘটকের কাজ করেছে সুশাসনের অভাব, জবাবদিহির দৈন্যতা এবং দুর্নীতির সর্বগামিতা সেখানকার এবং এখানকারও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। এখানে দুর্নীতিই এখন সব দুর্নীতির উৎস হিসেবে সাব্যস্ত হচ্ছে।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও