মা-হারা শিশু জয়া-আরিফ কি আমাদের ক্ষমা করবে

প্রথম আলো আনিসুল হক প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১২

মো. জামাল আর আঞ্জুয়ারা দম্পতির এই ছবির দিকে তাকিয়ে থাকি। দুজনেই সুদর্শন। আঞ্জুর চোখে একটুখানি পুষ্টিহীনতার রেশ যে নেই, তা বলব না। কিন্তু চোখ দুটো মায়াভরা। জামাল তো রীতিমতো কেতাদুরস্ত। চোখে হালকা সানগ্লাস।


আঞ্জুয়ারার গায়ে নীল জামা, জামালের টি-শার্টটা শর্ষে হলুদ। মাথার ওপরে ঢেউটিনটাও বিশেষ রকমের। ঢেউগুলো গোল গোল নয়, একটুখানি চৌকো ধরনের। লক্ষ করার মতো হলো পেছনের খাটটা। দেখে মনে হচ্ছে, ভালো কাঠের কারুকাজ। অবশ্য হালকা কোনো কৃত্রিম কাঠসদৃশ জিনিস দিয়ে বানানো হতে পারে।


আঞ্জুয়ারার বয়স ৩০। তাঁদের দুই ছেলে-মেয়ে। বড়টা ছেলে, আট বছর, নাম আরিফ, পড়ে ক্লাস থ্রিতে। ছোটটা মেয়ে, নাম জয়া, বয়স সাত, পড়ে ক্লাস টুয়ে। তারা থাকে দাদা-দাদির কাছে, সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের চরগিরিশ গ্রামে। পূজার ছুটিতে এসেছে মা-বাবার কাছে। মা-বাবা দুজনেই চাকরি করেন, গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে।
এখন আরিফ ও জয়া বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে মায়ের নিস্পন্দ দেহ। মজুরি বাড়ানোর আন্দোলন করছেন পোশাকশ্রমিকেরা। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ। ৮ নভেম্বর ২০২৩ সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে মারা গেছেন আঞ্জুয়ারা।


শ্রমিকেরা বলছেন, তাঁর গায়ে গুলি লেগেছিল, কেউ বলছেন লেগেছিল কাঁদানে গ্যাসের শেল। পুলিশ বলছে, শরীরে গুলির চিহ্ন নেই, হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে মারা গেছেন আঞ্জু।


সত্য এ-ই যে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করছিলেন শ্রমিকেরা, সেইখানে, পথে, আন্দোলনস্থলে আঘাত পেয়েছেন আঞ্জুয়ারা, আর তিনি মারা গেছেন। তিনি আর কোনো দিন জাগবেন না। জড়িয়ে ধরবেন না ছেলে আরিফকে, মেয়ে জয়াকে। তাঁর স্বামী জামাল আর কোনো দিনও আঞ্জুকে পাশে নিয়ে সেলফি তুলতে পারবেন না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও