কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সন্তানকে তার নিজের গল্প নিজের মতো করে বলতে দিন

জাগো নিউজ ২৪ শাহানা হুদা রঞ্জনা প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০

লেখাটা শেষ করে ফেলার পর খবরে দেখলাম সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সামিতা আশকাও আত্মহত্যা করেছেন। কেন করেছেন এর জবাব নেই কারও কাছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৩৬১ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। অর্থাৎ মাসে গড়ে ৪৫ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন এবং এর মূল কারণ অভিমান।


এই ভয়াবহ খবরের মধ্যে আরও বেদনাদায়ক তথ্য হচ্ছে স্কুলগামী শিশুদের মধ্যে আত্মহত্যার হার বেশি। মোট আত্মহত্যাকারী শিক্ষার্থীদের ৪৬ দশমিক ৮ শতাংশই স্কুলগামী। বেশি আত্মহত্যা করেছে ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা, যা শতকরা ৬৭ দশমিক ৩ শতাংশ। যারা জীবনটা শুরুই করতে পারলো না, কেন তারা নিজেরাই নিজেদের জীবনটা শেষ করে দিচ্ছে?


সুইস মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং মনোবিশ্লেষক কার্ল গুস্তাভ জং বলেছিলেন, ‘পৃথিবীতে সকল অমঙ্গলের কারণ হলো এটাই যে, মানুষ তাদের মনের কথা বলতে পারে না।’ ঠিক তাই ঘটেছে আমাদের জীবনে, বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের জীবনে। তারা এমন প্রজন্মে পরিণত হয়েছে যারা কথা বলার জন্য ভাষা জানে, গণিত শিখে, পদার্থ বিজ্ঞান ও কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শিখে, এআই টেকনোলজি সম্পর্কে জানে। কিন্তু তাদের মনে বলার মতো কোনো কথা নেই, বলার মতো কোনো গল্প নই। আছে শুধু নিজের ইন্দ্রিয় উপভোগ, সম্পদ আহরণ, অভাব-অভিযোগ ও না পাওয়ার কষ্ট।


সম্প্রতি একটি জরিপ আমাদের জানিয়েছে, বাচ্চারা অভিমান করে চলে যাচ্ছে। হতে পারে শিশু-কিশোরদের এ অভিমান কিছু না পাওয়ার কষ্টে, পরীক্ষায় ভালো ফল করতে না পারার ভয় ও লজ্জা থেকে, বাবা-মায়ের কাছে লাঞ্ছিত হয়ে, পরিবারে নিগৃহীত হয়ে, যৌন হয়রানির শিকার হয়ে, বাবা-মায়ের কাছ থেকে ভালোবাসা ও সময় না পেয়ে অথবা অতিরিক্ত প্রশ্রয় পেয়ে। এ কারণগুলোই এখন আমাদের জানতে হবে, বুঝতে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও