কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

এ কী কথা শুনি আজ মথুরার মুখে!

যুগান্তর বদিউর রহমান প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৪০

নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। অতএব ক্ষমতাপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলগুলোর এখন বড় বেশি ব্যস্ততা। কেউ এককভাবে, আবার কেউ জোটবদ্ধভাবে-যারা যেভাবে পারে প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষকে হেনস্তা করতে মহাব্যস্ত। জনগণের মধ্যে ভোটের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির থেকেও নিজেদের কর্মকাণ্ডের ঢোল বাজাতে অথবা বিরোধী পক্ষের অপকীর্তির প্রচারেই এখন সবাই ব্যস্ত। সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক বক্তব্যগুলো বলা চলে, অতীব বিরক্তিকর এবং ঘ্যানর-ঘ্যানর মার্কা। সুস্থ-সুন্দর নির্বাচনের জন্য জনগণকে স্বস্তিদায়ক কোনো কথা কোনো পক্ষই বলছে না। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ব্যস্ত বিএনপির অতীত ব্যর্থতা, জন্মের অপকর্ম এবং তাদের জ্বালাও-পোড়াওয়ের কাসুন্দি নিয়ে। আর বিএনপি ব্যস্ত আওয়ামী লীগের স্বৈরাচার, কর্তৃত্বপরায়ণতা এবং গণতন্ত্রের তথা নির্বাচনের সংস্কৃতির বিনাশ নিয়ে। মির্জা ফখরুল ভদ্রজন, মার্জিত বক্তব্য নিয়েই বেশি আবির্ভূত হন। রিজভীর মধ্যে লাগামছাড়া ভাব আছে। অন্যদিকে শেখ হাসিনার ধারালো আক্রমণ বিএনপির আঁতে ঘা দেয়। কিন্তু ওবায়দুল কাদেরের মধ্যে বেশ লাগামছড়া ভাব লক্ষণীয়। রাজনীতিতে মেঠো বক্তৃতায় এমন হতেই পারে, কিন্তু তারও একটা সীমা-পরিসীমা থাকা আবশ্যক এবং কাম্য তো বটেই। অথচ আমরা কোনো পক্ষ থেকেই তেমন সুস্থতা, ধীর স্থিরতা, সহিষ্ণুতা এবং জনতুষ্টির বক্তব্য পাচ্ছি না। হালে সবচেয়ে বড় বেফাঁস বক্তব্য দিয়ে দিলেন ওবায়দুল কাদের। আমরা যারপরনাই অবাক হলাম।


২৬ আগস্ট, ২০২৩ মিরপুর-১-এর দারুসসালাম বালুর মাঠে আওয়ামী লীগের এক আলোচনাসভা ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে এক রাতেই আওয়ামী লীগকে শেষ করে দেবে। ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগের ওপর কোনো প্রতিশোধ নেওয়া হবে না, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির মুখে মধু, অন্তরে বিষ। তারা আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে, আবার ক্ষমতায় এলে এক রাতের মধ্যে বাকিটা শেষ করে দেবে (যুগান্তর, প্রথম আলো, ২৭ আগস্ট)। বিএনপির বিরুদ্ধে কাদের আরও বিষোদ্গার করেছেন। তার এমন বলায় এখন আমরা অভ্যস্ত। বিএনপিও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে। এ দুদল একে অপরকে সামান্যতম সহ্য করতে পারে কি না বোঝা মুশকিল। আওয়ামী লীগের ক্ষোভ অবশ্যই ঐতিহাসিক। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যা, ২১ আগস্ট ২০০৪-এর গ্রেনেড হামলায় শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা, ১৯৭৫-এর জেলহত্যা-সবই তো আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্যই। আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্যই তো ৭৫-এর নভেম্বরের জেলহত্যা। এমনকি চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানের জনসভায় গুলিও তো হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই, হোক না তাতে পুলিশের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হয়েছে। এসব প্রচেষ্টার পেছনে বিএনপির সংশ্লিষ্টতা কি উড়িয়ে দেওয়া যায়? হ্যাঁ, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই তো জিয়া ক্ষমতাসীন হয়েছে, নাকি? খুনিদের ইনডেমনিটি তো জিয়াই দিয়েছেন, নাকি? ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে বিএনপি নেতাদের সংশ্লিষ্টতা কি এখন আর অস্বীকার করা যাবে? জজ মিয়া নাটক তো বিএনপি সরকারই করেছে, নাকি? আগের এসব ঘটনা থেকেই বোধকরি ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রথম অংশের আংশিক সত্যতা মেলে-অর্থাৎ বিএনপি আওয়ামী লীগকে কিছুটা হলেও নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। আংশিক সত্য বলি এজন্য যে, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যাও, আওয়ামী নেতাদের হত্যা করে আওয়ামী লীগের যথেষ্ট ক্ষতি করা হয়েছে। কিন্তু আমরা এ কথা বিশ্বাস করি না যে, বিএনপি আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। হ্যাঁ, আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা হয়তো বিএনপির ছিল, কিন্তু নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু হত্যায় আওয়ামী-বিশ্বাসঘাতকতাও তো অস্বীকার করা যাবে না। খন্দকার মোশতাক কি আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন না? অন্য আওয়ামী নেতারা কি মোশতাককে তখন সমর্থন দেননি?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও