শ্রীকৃষ্ণের গায়ত্রী উপাসনা

ঢাকা পোষ্ট কুশল বরণ চক্রবর্ত্তী প্রকাশিত: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪:২৯

বর্তমানে অনেক ব্যক্তিই প্রচণ্ড সন্দিগ্ধ হয়ে যান যে, তিনি যদি কোনো গুরু থেকে দীক্ষা গ্রহণ না করেন, তবে তার কী গতি হবে বা কী মন্ত্র জপ করতে হবে ইত্যাদি। যারা বিভিন্ন গুরুদের থেকে দীক্ষা নিয়েছেন তাদের প্রসঙ্গ ভিন্ন। কিন্তু যারা কোনো বিশেষ মতাদর্শে দীক্ষিত না হয়ে, কোনো পবিত্র মন্ত্র সর্বদা জপ করতে চান তারা শাস্ত্রের দিকে একটু দৃষ্টিপাত করলেই দেখতে পাবেন সেখানে সুস্পষ্টভাবে কোনো মন্ত্র জপ করতে হবে তা বর্ণিত হয়েছে। সেই পবিত্র মন্ত্রটি হলো বেদের সর্বশ্রেষ্ঠ মন্ত্র ‘গায়ত্রী মন্ত্র’।


‘সৃষ্টি, স্থিতি এবং লয়কর্তা; প্রাণস্বরূপ, দুঃখনাশক এবং স্বর্গীয় সুখস্বরূপ; জ্যোতির্ময়, সর্বরক্ষক বরণীয়, ঐশ্বর্যযুক্ত পরমাত্মার ধ্যান করি। সেই বরণীয় প্রেরণকর্তা যেন আমাদের বুদ্ধিকে শুভ কার্যে প্রেরণ করেন।’


জগতের সকলের মন্ত্র যেন এক হয়। এই প্রসঙ্গে ঋগ্বেদের সর্বশেষ ‘সংজ্ঞানসূক্ত’-এ বলা হয়েছে—


‘তোমাদের সকলের মিলনের মন্ত্র এক হোক, মিলনভূমি এক হোক এবং মনসহ চিত্ত এক হোক। তোমরা একতার মন্ত্রে উদ্দীপ্ত হয়ে অগ্রগামী হও। তোমাদের দেওয়া খাদ্য-পানীয় ঐক্যবদ্ধভাবে সুষম বণ্টন করে গ্রহণ কর।’


‘সমানো মন্ত্রঃ’—এই বাক্যে ঈশ্বর নির্দেশ দিয়েছেন আমাদের সকলের মন্ত্র যেন এক হয়। বেদ, রামায়ণ, মহাভারতসহ যে মন্ত্রটি সর্বক্ষেত্রে ব্যবহৃত, তা হলো-ওঙ্কার (ॐ)। এই পবিত্র ওঙ্কার মন্ত্রই গায়ত্রী মন্ত্রের সাথে সংযুক্ত করে গায়ত্রীসন্ধ্যায় নিত্য জপ করতে হয়।


আমরা যে যে মত-পথের সম্প্রদায়ভুক্ত হই না কেন, আমাদের সবারই বৈদিক ওঙ্কার এবং গায়ত্রী মন্ত্রের শরণে আসা উচিত। তবেই আমরা ঋগ্বেদের 'সংজ্ঞানসূক্ত'-এ ঈশ্বর নির্দেশিত সমান মন্ত্রভুক্ত হতে পারব। বিভিন্ন মত-পথের সম্প্রদায়গত মন্ত্রকে দ্বিতীয় পর্যায়ে রেখে, আমাদের সবার উচিত ত্রিসন্ধ্যা গায়ত্রী মন্ত্রের জপ করা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও