রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আবার তামাশা

প্রথম আলো মো. তৌহিদ হোসেন প্রকাশিত: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪:২৩

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে তামাশা শুরু হয়েছে আবার। সর্বশেষ চীনের মধ্যস্থতায় কুনমিংয়ে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পরীক্ষামূলক প্রকল্পের আওতায় মোট ৭ হাজার ১৭৬ রোহিঙ্গাকে রাখাইনে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।


গত মার্চ মাসে মিয়ানমারের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করে এবং রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করে। বাংলাদেশ সরকার চাইছে পরীক্ষামূলকভাবে হলেও ছোট একটি দলকে রাখাইনে পাঠিয়ে প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া শুরু হোক। বাংলাদেশকে এ নিয়ে তাগাদা দিচ্ছে চীন (রাহীদ এজাজ, প্রথম আলো ২৫ আগস্ট ২০২৩)। গত ২৭ মে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-চীন পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরু করতে বলে চীন।


২০১৭ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে মিয়ানমার সেনাদের দ্বারা সংঘটিত গণহত্যার মুখে আট লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। তাদের প্রত্যাবাসনের জন্য ওই বছরেরই নভেম্বরে তড়িঘড়ি করে মিয়ানমারের সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করে বাংলাদেশ। এই অসম চুক্তির শর্ত অনুযায়ী পালিয়ে আসা ৮ লাখ ২৯ হাজার ৩৬ রোহিঙ্গার তালিকা বাংলাদেশ মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করে। ‘যাচাই-বাছাই’-এর পর তা থেকে ৬২ হাজার ২৮৫ ব্যক্তিকে ‘ক্লিয়ার’, অর্থাৎ মিয়ানমার থেকে আগত বলে নিশ্চিত করে মিয়ানমার। এই সংখ্যা মিয়ানমারকে দেওয়া তালিকার ৭ দশমিক ৫১ শতাংশ মাত্র। বলা বাহুল্য, এই চুক্তির অধীন গত ছয় বছরে একজন রোহিঙ্গাও প্রত্যাবাসিত হয়নি।


স্বল্পসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে প্রত্যাবসিত করার এটি তৃতীয় প্রয়াস। ২০১৮ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রসচিবদের মধ্যে বৈঠকে পরের মাসে সীমিতসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ফেরত নেওয়া শুরুর সিদ্ধান্ত হয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারে বিরাজমান পরিবেশের পরিপ্রেক্ষিতে এর বিরোধিতা করে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও