ঐক্যই আমাদের শক্তি

যুগান্তর ড. মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১২

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং ক্যাম্পে মারাত্মক ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায়, এক ফাঁকে কলকাতায় ডাক্তার দেখাতে গিয়ে, ফেরার পথে একটি রেস্টুরেন্টে খেতে বসে দারুণ একটি অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলাম। আমরা দুজন টেবিলে বসে ওয়েটারকে খাসির মাংস আছে কিনা জিজ্ঞাস করায় জবাব না দিয়ে সে কিচেনের কারও উদ্দেশে বলে ওঠে, ‘ঠাকুর এরা তো মোছলমান!’ অতঃপর ঠাকুরের নির্দেশে সে আমাদের প্লেট না দিয়ে কলাপাতায় খাবার পরিবেশন করেছিল। আর আমাদের ‘মোছলমান’ বলার কারণ ছিল, সেখানকার হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা খাসির মাংসকে পাঠার মাংস বলে থাকে!


তবে বর্তমান ভারতের বিজেপি সরকার যে আমাদের সেদিনের ওয়েটার ছেলেটির মতো সেই অর্থে মুসলমান বা মোছলমান জ্ঞান করছে না, তা বলাই বাহুল্য। কারণ বিজেপি দলটি মুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রতিই বিরাগভাজন হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় কাশ্মীরের পাশাপাশি আশপাশের অন্য এলাকার মুসলিম জনগোষ্ঠীও মোদি সরকারের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছে এবং বাংলাদেশের ওপরও তাদের শ্যেনদৃষ্টি পড়েছে। এতদিন সেদেশে অন্তর্ঘাতমূলক কোনো কর্মকাণ্ড ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে তার দায়ভার যেভাবে পাকিস্তানের ঘাড়ে চাপানো হতো, এখন বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও একই কায়দায় অভিযোগ এনে প্রপাগান্ডা চালানো হচ্ছে এবং ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা দায় চাপিয়ে বাংলাদেশকে চাপে ফেলার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে; বিশ্বদরবারে বাংলাদেশি মুসলিমদের সন্ত্রাসী হিসাবে প্রমাণ করার চেষ্টা করে ভারত তাদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতে চাচ্ছে। অথচ ভারত সরকার ভালো করেই জানে, বাংলাদেশ একটি শান্তিপ্রিয় জনগোষ্ঠীর দেশ হিসাবে ধীরে ধীরে বিশ্বদরবারে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে। এ অবস্থায় অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর ইচ্ছা বা সময় বাংলাদেশের নেই। কিন্তু এসব জেনেবুঝেও ভারতের বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে শান্তিতে থাকতে দিতে চায় না! কারণ প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর ওপর দাদাগিরি ফলানো ভারতের অন্যতম একটি নীতি হয়ে উঠেছে। আর সেই প্রতিবেশী দেশটি একটি মুসলিম রাষ্ট্র হলে তো কথাই নেই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও