২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পিলখানায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তা মর্মান্তিকভাবে নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্রবাহিনী অফিসারদের সংগঠন রাওয়া কর্তৃপক্ষ শহীদ কর্মকর্তাদের স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের বিশেষ সদস্যপদ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়। দ্রুত ওইসব সদস্যপদ প্রদান করে তিন বাহিনী প্রধানকে দাওয়াত দিয়ে এক অনুষ্ঠান আয়োজনেরও ব্যবস্থা করা হয়। তখন রাওয়া ইসি কমিটির সদস্য মরহুম মেজর ইয়াসিন মোল্লা এজন্য আমার সহায়তা কামনা করেন। যেহেতু শহীদ কর্মকর্তাদের নিয়ে আমার সম্পাদিত বাংলাদেশ ডিফেন্স জার্নালে ইতোমধ্যেই দুটি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে, সেজন্য সব শহীদের পরিবারের নাম ও যোগাযোগের মোবাইল বা ল্যান্ড ফোন নম্বর আমার কাছে ছিল। তাই রাওয়া কর্তৃপক্ষ আমাকেই ওই দায়িত্বটি দেয়।
২০০৯ সালের মার্চ সংখ্যাকে বিশেষ বিডিআর সংখ্যা হিসাবে প্রকাশের জন্য আমি সেনা সদরদপ্তরের সহযোগিতা চেয়েছিলাম। সব শহীদ কর্মকর্তার ছবি, শর্ট বায়োডাটাসহ পরিবারের যোগাযোগের ডিটেইলস জোগাড় করা সে সময় সহজ কাজ ছিল না। আমি পুরোদস্তুর আমার জার্নালের প্যাডে চিঠি লিখে সেনা সদরদপ্তরের অনুমোদন গ্রহণ করি এবং সামরিক গোয়েন্দা পরিদপ্তর তার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র প্রদান করে। এরপর সব শহীদ কর্মকর্তার পরিবারবর্গের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের পারিবারিক দুর্লভ ছবি শুধু নয়, হৃদয়ছোঁয়া অনেক পারিবারিক কাহিনিও সংগ্রহ করা হয়।