নির্মাণই ঝুঁকি, ভূতত্ত্ব নয়
ঢাকা পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনবহুল নগরী। বিকেন্দ্রীভূত উন্নয়নের অভাব, দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি, উচ্চ জনঘনত্ব, দুর্বল পরিকল্পনা ও নির্মাণ, অব্যবস্থাপনা ও শাসন ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে ঢাকা ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। গণমাধ্যমে প্রায়ই নাটকীয় ও ভীতিকর শিরোনাম দেখা যায় ‘৮ দশমিক ২ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প যেকোনো মুহূর্তে ঢাকায় আঘাত করবে।’ ভয়ের খবর ক্লিক আনে, আর ক্লিক আনে আয়—ফলে আতঙ্ক ও ভ্রান্ত তথ্য দ্রুত ছড়ায়। এতে আমরা ভাবি ভূমিকম্প হঠাৎ ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তবে ভয়ের বড় অংশটি হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক অদক্ষতা।
২০১৬ সালের একটি গবেষণায় বাংলাদেশের নিচে একটি ‘প্লেট বাউন্ডারি’ লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনা দেখিয়ে বিরল মহাভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। তবে অনেক বিশেষজ্ঞই বলেন, এ ধরনের প্লেটের কোনো সর্বসঠিক ভূতাত্ত্বিক মানচিত্র নেই; বাংলাদেশের টেকটোনিক সাবডাকশন (অধিকাংশ ৯ মাত্রার ভূমিকম্পের কারণ) না হয়ে মূলত অনুভূমিক স্লিপ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আর ওই গবেষণায় ব্যবহৃত তথ্য একাই ভবিষ্যৎ ভূমিকম্পের মাত্রা বা অবস্থান নির্ধারণ করতে পারে না।
- ট্যাগ:
- মতামত
- ভবন নির্মাণ