বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোন পেশার লোকজনের আধিপত্য?

বণিক বার্তা নেসার আমিন প্রকাশিত: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫:৩৫

আপনাদের অনেকেরই মনে আছে, ২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১তম সমাবর্তনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছিলেন, ‘আমাদের গ্রামে প্রবাদ আছে—গরিবের বউ নাকি সবারই ভাউজ (ভাবি)। রাজনীতিও হয়ে গেছে গরিবের বউয়ের মতো। যে কেউ যেকোনো সময় ঢুকে পড়তে পারেন, বাধা নেই।’ বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের দিকে তাকালে এ কথা অস্বীকার করার অবকাশ নেই। কারণ আমাদের রাজনীতি আজ বহুলাংশে (অ)রাজনীতিবিদদের করায়ত্তে। আরো ভেঙে বললে, আমাদের রাজনীতির নাটাই আজ বলতে গেলে ব্যবসায়ীদের হাতে।


বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ১৯৩৫ সাল অবধি পৌরসভা, স্থানীয় পর্যায়ের কমিটি ও বোর্ডে নির্বাচিত ও মনোনীত উভয় ক্ষেত্রেই জমিদারদের প্রাধান্য লক্ষ করা যায়। এমনকি ১৯৩৭ সালের নির্বাচনেও তাদের প্রভাব বজায় ছিল। এরপর নির্বাচনের ইতিহাসে রাজনৈতিক মেরুকরণের ধারা লক্ষ করা যায়। ১৯২০ সাল পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন ছাড়াই প্রার্থীরা ব্যক্তিগত ও স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হন। এমনকি ১৯৩৭ সালের বঙ্গীয় আইনসভার নির্বাচন দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সংখ্যা ছিল সর্বাধিক। ২৫০ আসনের মধ্যে ৮১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হন। পরবর্তী দশকে অবস্থার মৌলিক পরিবর্তন হয়। ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের আওতায় ১৯৪৬ সালে অনুষ্ঠিত প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিরঙ্কুশভাবে পরাজিত করে। প্রায় ৩০০ প্রার্থী স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তাদের মধ্যে মাত্র আটজন নির্বাচিত হন। এভাবেই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনের যুগের পরিসমাপ্তি ঘটে। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও