মিয়ানমার জান্তার ‘সু চি কার্ড’ কাজে দেবে?

সমকাল শেখ রোকন প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২৩, ০১:৩০

নাফ নদের এপার থেকে দেখলে মিয়ানমারে গত তিন সপ্তাহে দুটি ‘পরিবর্তন’ ঘটেছে। প্রথমটি হলো, কারারুদ্ধ গণতন্ত্রকামী নেত্রী অং সান সু চির সাজা ছয় বছর কমিয়ে দিয়েছে সামরিক জান্তা। পবিত্র আষাঢ়ী পূর্ণিমা উপলক্ষে ‘ক্ষমাপ্রাপ্ত’ সাত হাজার বন্দির মধ্যে তিনিও রয়েছেন। যদিও তিনি এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না। কারণ জান্তার করা ১৯টি মামলার ৫টিতে ‘ক্ষমা’ পেলেও আরও ১৪টি মামলায় ২৭ বছর সাজা বহাল রয়েছে ৭৮ বছর বয়সী এই রাজনীতিকের। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম অভ্যন্তরীণ সূত্রের বরাতে বলেছে, অং সান সু চি ইতোমধ্যে কারাগার থেকে রাজধানী নেপিদোর একটি আবাসিক ভবনে স্থানান্তরিত হয়েছেন। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুতির পর তাঁকে প্রথমে সরকারি বাসভবন, পরে অজ্ঞাত সামরিক ঘাঁটি হয়ে গত বছর জুনে নির্জন কারাকক্ষে নেওয়া হয়েছিল।


শুধু তাই নয়, গত ৯ জুলাই থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডন প্রামুদউইনাই সু চির সঙ্গে দেখাও করতে পেরেছেন মিয়ানমারের সামরিক জান্তার আয়োজনে। ১১-১২ জুলাই ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিত আসিয়ানের সভায় তিনি সেই খবর ‘ব্রেক’ করে বলেছেন, সু চির ‘স্বাস্থ্য ভালো আছে; তিনি সংলাপে উৎসাহ দিয়েছেন।’


অং সান সু চির প্রতি সামরিক জান্তার হঠাৎ ‘সদয়’ হওয়ার কারণ কী? এর উত্তর রয়েছে দ্বিতীয় পরিবর্তনটির মধ্যে: সামরিক জান্তা পরিষদ বা ‘স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল’ ৩১ জুলাই অনুষ্ঠিত বৈঠকে জরুরি অবস্থার মেয়াদ চতুর্থবার বাড়িয়েছে।


২০০৮ সালে সেনাবাহিনী প্রণীত সংবিধান অনুযায়ী মিয়ানমারে প্রাথমিকভাবে এক বছর এবং ‘প্রয়োজনে’ ছয় মাস করে আরও দু’বার জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো যায়। জরুরি অবস্থার সেই ‘সংবিধানসম্মত দুই বছর’ মেয়াদ চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতেই শেষ হয়ে গেছে। যে কারণে কোনো কোনো বিশ্লেষক ধারণা করেছিলেন, জরুরি অবস্থার মেয়াদ বৃদ্ধির বদলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের ঘোষণা আসবে।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও