করোনা-পরবর্তী জীবন ও দাম্পত্য
করোনা মহামারীর প্রকোপ কমেছে। কিন্তু রেখে গেছে অসংখ্য পদচিহ্ন। তার ছাপ কি শুধুই শরীরে না বাজারের আগুনঝরা দামে? জরিপ বলছে মানুষের দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কেও করোনার প্রভাব পড়েছে। আমরা সবাই জানি দুনিয়া থেমে যায়নি, থেমে থাকেনি। কোভিডের প্রাথমিক ঝাপটা সামলে ওঠার পরপরই মানুষ বিকল্প পথ খুঁজে নেয়। দুনিয়া তো বন্ধ থাকতে পারে না। বন্ধ হতে পারে না কাজকর্ম। তাহলে তো জীবনই থেমে যেত। ওই সময় ওয়ার্ক ফ্রম হোম বা বাড়ি থেকে কাজ করার যে পদ্ধতি চালু হলো আজ তা ভিত্তি লাভ করেছে। অনেক প্রতিষ্ঠান আর আগের মতো বিপুল কর্মচারী নিয়ে বড় অফিস লালন করে না। এতে আর্থিক সাশ্রয়ের পাশাপাশি নানাদিকে খরচের হার নেমে গেছে। ফলে অনেকেই আর আগের জায়গায় ফিরতে নারাজ।
আমরা যারা দেশের বাইরে থাকি কিন্তু দেশের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগে যুক্ত থাকতে পছন্দ করি, আমাদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ এনে দিয়েছিল করোনা। সব খারাপ বিষয়েরও ছোট ছোট ভালো দিক থাকে। দেশের বাইরে থেকে নিয়মিত টকশো বা অনলাইন অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার সুযোগ পেয়েছি আমরা। কিছুটা থিতিয়ে এলেও এই প্রবণতা বা অভ্যাস এখন দেশের মানুষজনের ভেতরও কাজ করছে। ট্রাফিকের জট আর দুর্ভোগ পেরিয়ে স্টুডিওতে যাবার পরিবর্তে মানুষ যুক্ত হচ্ছেন নিজ নিজ ঘরবাড়ি বা অফিস থেকে। এতে উভয় দিক থেকে লাভ। কিন্তু আমাদের অজান্তে একটি দিক আবার তার স্বরূপ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে। সে দিকটাই আজকের লেখার বিষয়, যার নাম দাম্পত্য।
জরিপ বলছে, করোনা মহামারীর পর ‘হোম অফিস’ ছেড়ে আবারও সশরীরে অফিস করছেন চাকরিজীবী নারী-পুরুষেরা। তবে এখনো এমন অনেকেই আছেন যারা বাড়িতে থেকেই অফিস চালিয়ে যাচ্ছেন। নারী ও পুরুষভেদে হোম অফিস ও সশরীরে অফিসকে বেছে নেওয়ার কিছু তারতম্য আছে।