এমন খামখেয়ালিপনার জবাব কী?
যিনি যাই ভাবুন আর বলুন, ঘটনাটিকে এক কথায় চরম দায়িত্বহীনতা ও খামখেয়ালিপনার পরিণতি ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারি না।
কল্পনার অতীত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কচিকাঁচা কিশোর-কিশোরীদের শিক্ষা নিয়ে এমন তামাশাও হয়! দামি পোশাক পরে এলাম আর গেলাম, লোকসমাজে মেলামেশা করলাম-এর নাম শিক্ষকতা নয়।
সৃজনশীল পদ্ধতি অনুযায়ী শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ও পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করার আগে প্রত্যেক শিক্ষকেরই একটি সৃজনশীল মন থাকা চাই। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে বিভিন্ন পরীক্ষায় সৃজনশীল পদ্ধতিতে লেখা উত্তরপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। কেবল পড়াশোনা আর জানাবোঝা নয়, পরীক্ষকের সৃজনশীল মনও থাকা দরকার। অথচ আজ থেকে দেড় দশক আগে স্কুল ও কলেজ স্তরে সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করা হলে দুই বছর, এমনকি পাঁচ-সাত বছর পরও সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হয় : স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের পঞ্চাশ শতাংশের বেশি সৃজনশীল পদ্ধতি কী তা সঠিবভাবে জানেন না। এতদিনে এ পরিস্থিতির কি খুব একটা ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে? অবস্থাদৃষ্টে আমার তা মনে হয় না।