ঈদে আলামিন-মোফাজ্জেলদের ত্যাগের কথা

প্রথম আলো সারফুদ্দিন আহমেদ প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২৩, ১১:৩২

একজনের নাম আলামিন। কসাই আলামিন। বাড়ি পাবনা।  
আরেকজনের নাম মোফাজ্জেল। ‘মিস্ত্রি’ মোফাজ্জেল। বাড়ি হবিগঞ্জ।
দুজনেরই পরিবার আছে। আলামিন বিয়ে করেছেন এক বছর। এখনো সন্তান হয়নি। মোফাজ্জেলের পরিবারে স্ত্রী ও তিন সন্তান।


স্ত্রী-পুত্র-পরিবার ফেলে তাঁরা দুজনই ঈদ করছেন ঢাকায়। মোফাজ্জেল হবিগঞ্জ থেকে ঢাকায় এসেছেন তিন দিন আগে। তাঁর কাজ হলো গেরস্তের বটি–ছুরি–চাপাতি ধার করা।


তিন দিন ধরে মোফাজ্জেল ঢাকার রাস্তায় রাস্তায় ফেরি করে প্যাডেলযুক্ত মেশিন দিয়ে দা-বঁটি ধার করেছেন। আমরা যারা পশু কোরবানি দিচ্ছি, তারা মোফাজ্জেলের কাছ থেকে বঁটি শাণিয়ে নিয়েছি মাংস কাটার জন্য।


সারা দিন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে মোফাজ্জেলের রোজগার হয় ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। সকালবেলা রাস্তার পাশের রেস্টুরেন্ট থেকে দুটো রুটি ডাল দিয়ে খেয়েছেন। দুপুরে পাউরুটি কলা। রাতে ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে খাবার শেষ করেছেন। বাকি টাকা জমিয়েছেন ঈদের দিনে সকালবেলায় বাড়ি যাওয়ার জন্য।


অন্যদিকে, দেশের বাড়িতে যখন সবাই ঈদের সেমাই-পায়েস খাচ্ছেন, আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে যাচ্ছেন, তখন আলামিন ঢাকার সবুজবাগের একটি বাড়িতে কোরবানির গরুর মাংস কাটছেন। গরুর দামের বিপরীতে প্রতি হাজারে ১০০ টাকা তিনি পারিশ্রমিক পাবেন। অর্থাৎ গরুর দাম যদি ১ লাখ টাকা হয় তাহলে তিনি পাবেন ১০ হাজার টাকা। যে দালাল তাঁকে কাজটি জুটিয়ে দিয়েছেন, তাঁকে সেই দালালকে এই টাকা থেকে একটি অংশ দিতে হবে। আমিও আলামিনকে আমার পশু কোরবানির কাজে নিয়ে নিলাম।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও