![](https://media.priyo.com/img/500x/https%3A%2F%2Fimages.prothomalo.com%2Fprothomalo-bangla%252F2023-06%252F417b6a33-b077-4f7c-8943-0b0453d5eaa3%252Fyoung_people.jpg%3Frect%3D0%252C30%252C1600%252C840%26w%3D1200%26ar%3D40%253A21%26auto%3Dformat%252Ccompress%26ogImage%3Dtrue%26mode%3Dcrop%26overlay%3Dhttps%253A%252F%252Fimages.prothomalo.com%252Fprothomalo-bangla%252F2022-01%252F5a36c819-05a2-4bfb-ac50-57dd67355acb%252FBanner_7814X143.jpg%26overlay_position%3Dbottom%26overlay_width_pct%3D1)
জনমিতিক লভ্যাংশের সদ্ব্যবহার হচ্ছে কি?
অর্থনীতির ভাষায়—সম্পদ সীমিত, চাহিদা অসীম। সীমিত সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমেই সর্বোচ্চ ফল সম্ভব। ব্যক্তিজীবন থেকে রাষ্ট্রীয় সর্বত্রই সময় এবং সম্পদের সদ্ব্যবহারের গুরুত্ব রয়েছে। একটা দেশের অগ্রগতি অনেকাংশে নির্ভর করে ওই দেশের সম্পদের সঠিক ব্যবহারের ওপর। যে জাতি যত বেশি সময় ও সম্পদের সদ্ব্যবহার করেছে, তারা তত উন্নত। আজকের বিশ্বের উন্নত দেশের দিকে তাকালে উঠে আসে তাদের সময় ও সম্পদের মূল্যায়নের বিষয়টি। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ধরনের সম্পদ রয়েছে। যেমন প্রাকৃতিক সম্পদ, খনিজ সম্পদ, জনসম্পদ ইত্যাদি ।
আমাদের দেশে রয়েছে বিশাল জনসম্পদ। বিবিএসের জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২–এর সমন্বয়কৃত জনসংখ্যার চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২২ হাজার ৯১১ জন। তার মধ্যে ১৫-৬৪ বছর বয়সী কর্মক্ষম শ্রমশক্তির সংখ্যা হলো ১১ কোটি ৭ লাখ প্রায়, যা মোট জনসংখ্যার ৬৫.২৩ শতাংশ। এর অর্থ দেশ আজ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বা জনমিতিক লভ্যাংশের সুবিধার মধ্যে যাচ্ছে। জনমিতিক লভ্যাংশ হচ্ছে যখন কর্মক্ষম জনসংখ্যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৬০ ভাগের বেশি থাকে। তখন ওই দেশ জনমিতিক লভ্যাংশের সুবিধা ভোগ করে। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী নয়। একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এর ব্যাপ্তি। জনমিতির হিসাবে, বাংলাদেশ ২০১২ সাল থেকে জনমিতিক লভ্যাংশের যুগে প্রবেশ করে এবং তা ২০৪০ সাল পর্যন্ত বহমান থাকবে।