কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

যা থাকছে সংসদের বিশেষ অধিবেশনে

www.ajkerpatrika.com জাতীয় সংসদ ভবন প্রকাশিত: ০৩ এপ্রিল ২০২৩, ২২:৪২

সংসদ অধিবেশনের ৫০ বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে আগামী ৭ এপ্রিল। এ উপলক্ষে ৬ এপ্রিল শুরু হচ্ছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। এই বিশেষ অধিবেশন (একাদশ সংসদের ২২ তম) চার কার্যদিবস পর্যন্ত চলতে পারে। বিশেষ অধিবেশনে ৭ এপ্রিল বিকেলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ স্মারক দেবেন। এ ছাড়া ১৪৭ বিধিতে সাধারণ প্রস্তাব এনে তা গ্রহণ করা হবে। 


আজ সোমবার জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিশেষ অধিবেশনের কার্যক্রমসহ সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে নেওয়া বছরব্যাপী কর্মসূচি বিস্তারিত তুলে ধরেন। 


১৯৭৩ সালের ৭ এপ্রিল বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ যাত্রা শুরু করে উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, ‘১৯৭৩ সালের ৭ এপ্রিল সংসদের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালে আমরা সংসদের সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করতে যাচ্ছি। এ জন্য ৭ এপ্রিল সংসদের জন্য একটি ‍গুরুত্বপূর্ণ দিন।’


৫০ বছরের এই বিশেষ সময়টিকে উদ্‌যাপনের জন্য কিছু কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, একটি বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ইতিমধ্যে এই বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করেছেন। ৬ এপ্রিল থেকে অধিবেশন শুরু হবে এবং ৭ এপ্রিল বিশেষ অধিবেশনের কার্যক্রম হবে। সেখানে সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্‌যাপন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আসবেন ও স্মারক বক্তৃতা দেবেন। 


পরবর্তী অংশে ১৪৭ বিধিতে সাধারণ আলোচনার জন্য সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রস্তাব তুলবেন বলে জানান স্পিকার। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব উত্থাপন ও বক্তব্যর পর সকল সদস্যরা এই আলোচনায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। আলোচনায় আমরা প্রবীণ সদস্য বিশেষ করে ১৯৭৩ সালের সংসদের সদস্যদের অভিজ্ঞতা আমরা শুনব। ৮ এপ্রিল আলোচনা শুরু হয়ে ৯ এপ্রিল তা সমাপ্তির দিকে যাবে এবং প্রস্তাব সাধারণ সর্বসম্মতক্রমে নেওয়া হবে। এর মাধ্যমে অধিবেশন সমাপ্তির দিকে যাবে। আমরা বিশেষ অধিবেশনের একটি খসড়া কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। এর সবকিছু চূড়ান্ত হবে কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে।’ 


শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যখন সংসদের সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্‌যাপন করছি তখন একাদশ জাতীয় সংসদ চলমান। এটা অনেক গৌরবের বিষয়। আমাদের সংসদ নেতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী এবং স্পিকারও একজন নারী। যেটা দশমের কিছু অংশসহ, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত।’


সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, ৬ এপ্রিল সকালে সংসদের বৈঠক শুরু হলে ওই দিন শোকপ্রস্তাবসহ নিয়মিত কার্যসূচির মধ্য দিয়ে বৈঠক শেষ হবে। পরদিন ৭ এপ্রিল, শুক্রবার শুরু হবে বিশেষ অধিবেশনের কার্যক্রম। এদিন বৈঠক বসবে বিকেলে। এই দিনের বৈঠকে রাষ্ট্রপতি স্মারক বক্তব্য দেবেন। এ ছাড়া সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে এদিন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মারক ডাকটিকিট উন্মুক্ত করবেন। পরদিন ৮ এপ্রিল সকালে বৈঠক শুরু হলে প্রধানমন্ত্রী ১৪৭ বিধিতে সাধারণ প্রস্তাব তুলে সেটার ওপর বক্তব্য রাখবেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শেষ হলে অন্য সদস্যদের আলোচনার সুযোগ দেওয়া হবে। 


জানা গেছে, ৮ ও ৯ এপ্রিল দুই দিন আলোচনা শেষে সাধারণ প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হবে। তবে, এর মধ্যে আগ্রহী সকল এমপিদের আলোচনার সুযোগ দেওয়া না গেলে আরও একদিন সময় বাড়ানো হতে পারে। 


স্পিকার জানিয়েছেন, বিশেষ অধিবেশনের আলোচনাকালে লিপিবদ্ধ করা হবে। তা একত্রিত করে বই আকারে প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এর আগে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে যে বিশেষ অধিবেশন হয়েছিল তার আলোচনাগুলোকেও বই আকারে ইতিমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, ৬ এপ্রিল কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এই বইটির মোড়ক ‍উন্মোচন করবেন। 


বিশেষ অধিবেশন ছাড়াও বছরব্যাপী কিছু কিছু অনুষ্ঠান থাকবে বলে জানান শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রবীণ সংসদ সদস্যের সঙ্গে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পারস্পরিক একটি মতবিনিময়ের চিন্তা করছি। সিনিয়র সংসদ সদস্যরা তাদের অভিজ্ঞতা সেখানে শেয়ার করবেন। বর্তমানের তরুণ শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন থাকলে সেটা করবেন।’ 


সংসদের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানান স্পিকার। তা বাজেট সেশনের পরে হবে বলেও জানান তিনি। শিরীন শারমিন বলেন, ‘সেখানে আমরা অন্যান্য দেশের কিছু স্পিকারসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানাব। সেটি সুবর্ণ জয়ন্তী পালনের অংশ হবে বলে আশা করছি। সেটা সেপ্টেম্বর অক্টোবরে হয়তো হবে।’


এর আগে ২০২০ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের সংসদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ওই বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে স্মারক বক্তৃতা দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। 


ওই দিনই জাতির পিতাকে শ্রদ্ধা জানাতে সংসদে একটি প্রস্তাব এনেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই প্রস্তাব নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতাসহ সরকারি ও বিরোধী দলীয় ৭৯ সংসদ সদস্য এর ওপর ১৯ ঘণ্টা ৩ মিনিট আলোচনা করেন। পরে তা সর্বসম্মতক্রমে গ্রহণ করা হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও