কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পৃথিবীতে পেলে একজনই

দেশ রূপান্তর আন্দালিব রাশদী প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০২২, ১০:৪১

আমার যা কিছু আছে তার সবটার জন্যই আমি ফুটবলের কাছে ঋণী। স্যান্তোস দলের সঙ্গে যখন আমার খেলার জীবন শেষ হয়ে আসছে আমি এতটাই ঘোরের মধ্যে ছিলাম যে আমার নাম সই করেছি ‘এডসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো বোলা’ (বোলা মানে ফুটবল)এই খেলা আমার জন্য যা কিছু করেছে তার বিনিময়ে নামটা এভাবে লেখাই হচ্ছে আমার


কৃতজ্ঞতা জানানোর উপায় বলে আমার মনে হয়েছে। আর এর শুরুটা আমি জানি একজন ফুটবলারকে বাবা হিসেবে পাওয়ার মধ্য দিয়েঅধিকাংশ ছেলেই চায় বাবার মতো হবে, আমিও কোনো ব্যতিক্রম নই। ডনডিনহো অনেক গোল করেছেন, সবাই বলেছেন তিনি ভালো খেলোয়াড়। আমি কখনো ভাবিনি ব্রাজিলের পক্ষে খেলব কিংবা বিশ^কাপ জেতার মতো কিছু একটা করে ফেলব। আমি কেবল আমার বন্ধুদের বলেছি, ‘‘এক দিন আমি বাবার মতোই হব।’’ ডনডিনহো একজন ভালো মানুষ ছিলেন, বিস্ময়কর এক বাবা। যদিও ফুটবল তাকে তেমন কোনো টাকাপয়সা এনে দেয়নি, তিনি এই খেলাটাই খেলতেন। সে কারণে আমিও ফুটবল-মোহিত হয়ে উঠেছিলাম। এটা আমার ‘জিন’-এ এসে গেছে।


স্মরণ করুন, এমনই ছিল ব্রাজিলআমি যখন বেড়ে উঠছি ফুটবল সবখানেই। বাড়ির আঙিনায়, রাস্তায় সবখানেই আমি ফুটবল খেলেছি। খেলা কোথাও না কোথাও চলছেই আর আমাদের চেয়ে খানিকটা বড় ছেলেরাই আয়োজনটা করছে। আমি এবং আমার বন্ধুরা খেলার জন্য ‘মরিয়া’ হয়ে উঠেছিলাম, কিন্তু কোনো দলে সুযোগ পাওয়া সহজ ব্যাপার ছিল না। আমার বেলায় ওরা বলত, নেওয়া যাবে না, একেবারে হাড় জিরজিরে। এটা সত্যি ছেলে হিসেবে আমি আকারে ছোট এবং কৃশকায়। যখনই এসব কারণে বাদ পড়ছি, আমি ততই মরিয়া হয়ে উঠছি। যারা দলে যোগ দিচ্ছে তাদের বয়স দশ বছর, হয়তো আমাদের চেয়ে কয়েক বছর বেশি। তারা ভাবত তারাই রাজপথের সম্রাট। আমরা যারা ছোট দমে যাইনি, আমরা নিজেদের বিপ্লবের কথা ভাবতে থাকি। আমরা মাঠের বাইরের দিকে থাকব। যখন বলটা মাঠের বাইরে আসবে আমরা সেই বল আর ফেরত দেব না, নিজেরাই খেলতে শুরু করব। এতে আমরা অনেক চড়-থাপ্পড় খেয়েছি, পাছায় লাথিও পড়েছে। আমি ও আমার ভাই জোকা একটু দূরে দূরে থাকতাম। আমরা ভয়ে থাকতামআমাদের মা ডোনা কেলেস্তে যেকোনো সময় হাজির হয়ে যেতে পারেন।


মিনি সার্কাসের মোহটা কমে আসতেই ফুটবলের স্বপ্ন নিয়ে আমরা আরও আরও বেশি সময় কাটাতে শুরু করলামআমরা কবে খেলার সুযোগ পাব। আমাদের খেলার জন্য পোশাক-জুতো কিচ্ছু নেইএমনকি ফুটবলও না। পুরনো মোজা কিংবা স্টকিং-এর ভেতর কাগজ, ছেঁড়া কাপড়এসব গুঁজে দিয়ে বেঁধে যেনতেন একটা বল বানিয়ে খেলতে শুরু করি। যখনই কোনো একটা নতুন মোজা, একখণ্ড কাপড় পেয়ে যাই আমাদের বলটার আকার বড় হতে থাকে, মানটাও উন্নত, তারপর একসময় আরও উন্নত হতে হতে অনেকটা সত্যিকারের বলের মতোই মনে হতে থাকে। আমার প্রথম রাজকীয় ফুটবল মাঠটি হচ্ছে বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ রুবেন্স আরুদা স্ট্রিট স্টেডিয়ামদুদিকে দুটি পুরনো জুতো রেখে গোলপোস্ট বানিয়েছি আর এক জোড়া জুতো রাস্তার শেষ প্রান্তে যেখানে চোরাবালির শুরু। আমার জন্য এমন আর একটি ফুটবল মাঠ হচ্ছে সেতে দ্য সেটেমব্রো সড়ক (ব্রাজিলের স্বাধীনতা দিবসের উল্লেখ করে এই রাস্তার নাম রাখা)। উভয় রাস্তাতেই মাঠের সীমানা, যেখানে বাড়িঘরের শুরু। কিন্তু একসময় এটাই ছিল আমার জন্য ‘মারকানা’যেখানে আমার ফুটবল দক্ষতার প্রশিক্ষণ। মোজার বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা খুব সহজ কাজ নয়। স্ট্রিট স্টেডিয়ামে ফুটবল শুধু বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর অজুহাত নয়, এটা আমার বাতিক হয়ে ওঠে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও