আগামী দিনে বিজেপিবিরোধী ব্যাটন কার হাতে
কোনো রাজ্যে ভোটের আগে কোনো দলের ২৬ নেতার দলবদল কিসের ইঙ্গিত দেয়, রাজনীতিসচেতন মানুষদের তা বোঝানোর প্রয়োজন নেই। হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেসের এই ভাঙন নিয়েও তাই মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। মঙ্গলবার হয়ে যাওয়া এই রাজ্যের বিধানসভা ভোটের সম্ভাব্য ফল নিয়ে তাই বিশেষ জল্পনা যেমন নেই, তেমনই নেই খইফোটা উত্তেজনা।
এই রাজ্যে পাঁচ বছর অন্তর শাসক বদলায়। সেই হিসাবে এবার কংগ্রেসের ক্ষমতায় আসার কথা। সেই দায়িত্ব বর্তেছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ওপর। কংগ্রেস ধারাবাহিকতার হিসাব বরাবর করতে পারবে, এমন আশা নেতাদের মধ্যেই কম। তবু কথায় বলে, ‘যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ।’ তাই আপাতত অপেক্ষা আগামী ৮ ডিসেম্বরের। ওই দিন হিমাচল প্রদেশের সঙ্গে গুজরাটের ভোট–ভাগ্যও জানা যাবে।
তার আগে মাথাচাড়া দিচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কংগ্রেসনির্ভরতার প্রসঙ্গটি। হিমাচলি কংগ্রেসে ভাঙনের পর ঘোষিত হলো গুজরাট নির্বাচনে বিজেপির প্রথম প্রার্থীতালিকা। যে দলকে শাসক দলের নেতারা আট বছর ধরে উঠতে-বসতে গালি দিচ্ছেন, বিজেপির কাছে যারা ‘যত নষ্টের গোড়া’, সেই দলের নেতাদের কাছে টেনে ক্ষমতাসীন থাকার প্রচেষ্টায় বিজেপি যে অতুলনীয়, এই তালিকা তার আরও একটা প্রমাণ। ১৮২ বিধানসভা আসনের মধ্যে ১৬০টির প্রার্থীতালিকায় ১৭ কংগ্রেসিকে তাঁরা টিকিট দিয়েছেন, যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়ে ‘শুদ্ধ’ হয়েছেন!