দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে জ্বালানি তেল কিনে রাখলে আজ সংকটে পড়তে হতো না

বণিক বার্তা এম শামসুল আলম প্রকাশিত: ১৮ আগস্ট ২০২২, ০৯:২৯

ড. এম শামসুল আলম জ্বালানি বিশেষজ্ঞ। ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির প্রকৌশল অনুষদের অধ্যাপক ও ডিন। কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা। এর আগে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের অধ্যাপক ও ডিন ছিলেন। অধ্যাপনা করেছেন চুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগেও। প্রকাশ হয়েছে তার অনেক গবেষণা নিবন্ধ। সম্প্রতি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের নানা দিক নিয়ে তিনি কথা বলেছেন বণিক বার্তার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এম এম মুসা


বাজেটে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিক খাতটির জন্য নেয়া উদ্যোগের ব্যাপারে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?


২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দকৃত ভর্তুকির মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। গত অর্থবছরে ভর্তুকি ছিল ৯ হাজার কোটি টাকা। অথচ ২০২০ সালে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির আদেশে ভর্তুকি বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এরপর গ্যাস খাত। চলতি বছর গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির আদেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি ব্যয় নির্বাহে ভর্তুকি বরাদ্দ রয়েছে ১১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। ৮৫০ এমএমসিএফডি এলএনজি আমদানি ধরে ২০১৯ সালে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির আদেশে ভর্তুকি বরাদ্দ ছিল ১০ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এলএনজি আমদানির পরিমাণ কম হওয়ায় ২০২২ সালে রাজস্ব উদ্বৃত্ত থাকে ২ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা। এসব তথ্যদিতে প্রকাশ পায়, বরাদ্দ অপেক্ষা ভর্তুকি বেশিও দেয়া হয়। আবার ব্যয় কম হওয়ায় রাজস্ব উদ্বৃত্তও থাকে। তাই ভর্তুকি কম বা বেশি বরাদ্দে কোনো কিছু যায় আসে না।


বলা হচ্ছে, জনগণকে স্বস্তি দেয়ার জন্য ভর্তুকি দেয়া বা বাড়ানো হয়। সেখানেই শুভঙ্করের ফাঁকি। তাই প্রথমে ভর্তুকি বাড়ানোর যে প্রসঙ্গটি এসেছে এর অন্তর্নিহিত তাত্পর্য বিশ্লেষণ হওয়া দরকার। আমরা দেখেছি, ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে মূলত এলএনজি আমদানি ব্যয় নির্বাহের জন্য। অথচ এলএনজি আমদানি পর্যায়ে ভর্তুকি সমন্বয় না করে পেট্রোবাংলা পর্যায়ে সমন্বয় করে ঘাটতি তথা ভর্তুকি বাড়ানো হয়েছে ৬ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা। জনগণকে স্বস্তি দেয়ার জন্য হলে ভর্তুকি সমন্বয় হতো এলএনজি আমদানি পর্যায়ে, পেট্রোবাংলা পর্যায়ে নয়। আবার বিদ্যুতে প্রায় কম-বেশি ৫৮ শতাংশ ঘাটতি মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে সমন্বয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। ১৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে বিদ্যুতের মূল্যহার বৃদ্ধি করে যদি বলা হয় ভোক্তাকে স্বস্তি দেয়া হলো, তাহলে সে বক্তব্য হবে বিভ্রান্তিকর। যদি তা-ই হতো, তাহলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহূত ফার্নেস অয়েল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) পরিবর্তে ব্যক্তি খাতের মাধ্যমে আমদানি করে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা এবং শুল্ক-করাদি অব্যাহতি সুবিধা রহিত করে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি/ভর্তুকি বৃদ্ধি করতে হতো না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও