কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সব আসনে ইভিএম: তাড়াহুড়া নয়, ঐকমত্য জরুরি

সমকাল সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ১০ মে ২০২২, ১০:২৮

শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের রুদ্ধদ্বার সভায় দলটির সভাপতি ও দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হবে- রোববার সমকালসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তিনি যে ভবিষ্যৎমুখী ও প্রযুক্তিবান্ধব অবস্থান গ্রহণ করেছেন, তা সাধুবাদযোগ্য। তার এ বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পরপরই আগামী সাধারণ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।


যারা এর পক্ষে বলছেন তাদের অভিমত, ইভিএম একটি আধুনিক পদ্ধতি। এতে ভোট গণনাও দ্রুত ও সহজ হয়। ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই ভোটের ফল পাওয়া যায়। আর বিপক্ষ দলের বক্তব্য হলো, এ মেশিনে খুব সহজেই কারচুপি করা সম্ভব। ফলে ভোটের ফল পাল্টে দেওয়া যায়। তাছাড়া, অনভ্যস্ততার কারণে বিশেষ করে বয়স্ক ও নিরক্ষর ভোটাররা ইভিএমে ভোট দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। প্রক্রিয়াগত কারণে ভোট গ্রহণের গতিও অনেক কম হয় এই যান্ত্রিক পদ্ধতিতে।


উল্লেখ্য, ইভিএম নিয়ে এ বিতর্ক আজ নতুন নয়; বহু বছর ধরেই চলছে। আমাদের মনে আছে, ২০১০ সালে ড. এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন যখন ইভিএমে ভোট গ্রহণের প্রচলন শুরু করে তখনই বর্তমান সরকারের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিসহ বিভিন্ন মহল থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। এর পর বিশেষ করে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনসহ অনেক স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সফলভাবে এ যন্ত্রটি ব্যবহারের পরও সমালোচনা থামেনি।


এমনকি বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই অংশীজনের সঙ্গে যে সংলাপ শুরু করে, তাতেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, যা আগামী বছরের শেষদিকে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা; ইভিএম ব্যবহার না করার পক্ষে প্রবল মত আসে।


প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন একযোগে ৩০০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সোমবার সমকালের এক প্রতিবেদনে যেমনটা বলা হয়েছে, খোদ নির্বাচন ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারাই সংশয়ে আছেন- ওই বিশাল কর্মযজ্ঞ পরিচালনার জন্য যে সংখ্যক ইভিএম ও দক্ষ জনবল প্রয়োজন, তার ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশন এত অল্প সময়ে করতে পারবে কিনা। তবে আমরা মনে করি, এসব কারিগরি বা ব্যবস্থাপনাগত প্রশ্নের জবাব খোঁজার আগে আগামী নির্বাচন ইভিএম, না সনাতন পদ্ধতিতে হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হওয়াটা সবচেয়ে জরুরি। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও