ছেলেবেলার পাঠ্যবইয়ের একজন গরিব কৃষক গনি মিয়ার কথা মনে পড়ে। গনি মিয়ার নিজের কোনো জমি না থাকলেও অন্যের জমিতে বর্গা চাষ করেই কষ্টে-সৃষ্টে দিন কাটত। হঠাৎ তার কর্জ করে ঘি খাওয়ার সাধ জাগল। ছেলের বিয়েতে কর্জ করে ধুমধাম আয়োজন করল। শেষে ঋণ শোধ করতে না পেরে নিঃস্ব হলো।
গনি মিয়া এখন পাঠ্যবইয়ে না থাকলেও দেশে দেশে গনি মিয়াদের উপস্থিতি এবং আধিপত্য এখনো স্পষ্ট। গনি মিয়ারা এখনো মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার কর্জ করে ঘি খায়। ঋণের টাকায় নামীদামি ব্র্যান্ডের গাড়ি হাকায়, বিদেশ সফর করে, বিদেশি ব্যাংকে ডলার জমায়, বেগমপাড়ায় বাড়ি কিনে, দ্বৈত নাগরিকত্ব নেয়। গনি মিয়াদের পরিণতির কথা ভেবেই হয়তো বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন বলেছিলেন, ঋণ নিয়ে ঘুম থেকে জাগার থেকে রাতে না খেয়ে ঘুমাতে যাওয়া ঢের ভালো।