কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

অমর্ত্য সেনের বাড়িওয়ালি

বণিক বার্তা অধ্যাপক আব্দুল বায়েস প্রকাশিত: ০৮ মে ২০২২, ০৭:১২

ইংল্যান্ডে পড়তে যাওয়ার ধারণা প্রথম অঙ্কুরিত হয়েছিল অমর্ত্য সেনের পিতার মনে। তিনিও তিন বছর বিলেতে কাটিয়ে কৃষি রসায়নে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে ফিরেছিলেন। অমর্ত্য সেন যখন ক্যান্সারের কারণে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে রেডিওথেরাপি নিচ্ছিলেন, তার পিতা-মাতা চেয়েছিলেন স্বাস্থ্যগত গোলযোগ শেষে ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে অমর্ত্য সেন চিন্তাভাবনা শুরু করুক। তার পিতা জানতে চাইলেন তিনি অনেক সুনামের অধিকারী লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসে (এলএসই) যেতে আগ্রহী কিনা। অমর্ত্য সেন বললেন, ‘ওটা খুবই ভালো প্রস্তাব কিন্তু আমাদের সামর্থ্যের মধ্যে কি?’ সে সময় এটাই একটা স্বাভাবিক প্রশ্ন ছিল, কারণ পরিবারটি ধনী ছিল না এবং দীর্ঘমেয়াদি নিয়োগে তার পিতার বেতন বেশ মাঝারি স্তরে ছিল।


উত্তরে তার পিতা জানালেন, তিনি হিসাব-নিকাশ কষে এ উপসংহারে পৌঁছেছেন যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিসহ মাত্র তিন বছর লন্ডন থাকার ব্যয়ের বন্দোবস্ত করা যাবে। যেমন করেই হোক পিতা-পুত্রের সংলাপ হাইডোজ রেডিয়েশনের দৌর্বল্যকর প্রভাব প্রশমন সাপেক্ষে করণীয় নিয়ে অন্তত গবেষণার একটা সুযোগ করে দিয়েছিল এবং সেই সূত্রে বিষয়টি নিয়ে অমর্ত্য সেন তার অমিয় কাকার সঙ্গেও আলাপ করলেন, যিনি নিজেও লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস থেকে ১৯৩০-এর দশকে পিএইচডি করেছিলেন। তবে অমিয় দাশগুপ্ত অমর্ত্যকে এলএসইতে না গিয়ে বরং কেমব্রিজে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন, কারণ তার ধারণা ছিল তখনকার নেতৃস্থানীয় অর্থনীতির আখড়া হিসেবে কেমব্রিজ বিখ্যাত। যা-ই হোক, অমর্ত্য সেন তখনকার ব্রিটিশ কাউন্সিল লাইব্রেরিতে গিয়ে ইংল্যান্ডের কলেজ আর ইউনিভার্সিটির খোঁজখবর নিতে শুরু করলেন। পরিশেষে সিদ্ধান্ত নিলেন, বিশ শতকের সবচেয়ে সৃজনশীল মার্ক্সীয় চিন্তাবিদ মরিস ডব, অর্থনীতিবিদ ও দার্শনিক পিয়েরে স্রাফা এবং প্রধান উপযোগিতাবাদী অর্থনীতিবিদ ও মেধাবী রক্ষণশীল চিন্তাবিদ ডেনিশ রবার্টসন প্রমুখের সঙ্গে কাজ করা হবে তার জন্য রোমাঞ্চকর এবং সেটা যে ট্রিনিটি কলেজ, তা নিয়ে তার মনে সন্দেহের কোনো অবকাশ ছিল না। এমনকি তিনি ট্রিনিটি নিয়ে তার পছন্দে এতটাই নিশ্চিত ছিলেন যে শুধু সেখানে দরখাস্ত করেই ক্ষান্ত থাকলেন, অন্য কোনো কলেজে দরখাস্ত পাঠানোর প্রয়োজন বোধ পর্যন্ত করলেন না। বস্তুত, তার সিদ্ধান্ত ছিল ট্রিনিটি অথবা বাতিল (Triniti or bust)। কিছু ঘটন-অঘটনের পর জাহাজে করে ১৯ দিন পর তিনি ইংল্যান্ড পৌঁছেছিলেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও