রমজান এলেই কেন আল–আকসায় হামলা চালায় ইসরায়েল

প্রথম আলো সারফুদ্দিন আহমেদ প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০২২, ১২:৫৭

এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ফেসবুকের নিউজফিডে বাইতুল মুকাদ্দাসে (আল–আকসা মসজিদ) ইসরায়েলি হামলার নতুন নতুন ভিডিও চিত্র আসছে। একটি ভিডিওতে দেখলাম, কুব্বাতুস সাখরায় (আল–আকসা কম্পাউন্ডের সোনালি গম্বুজওয়ালা মসজিদ; ইসরায়েল ও পশ্চিমারা যেটিকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ‘ডোম অব দ্য রক’ বলে থাকে) ইসরায়েলি নিরাপত্তাকর্মীরা ঢুকে নির্বিচার রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ছে। মুসল্লিরা পিলারের আড়ালে লুকিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন। ওই অবস্থাতেও তাঁদের কাউকে কাউকে ‘আল্লাহু আকবর’ বলে ধ্বনি দিতে শোনা যাচ্ছে। ইসরায়েলি সেনারা মসজিদের মধ্যে ঢুকে তাণ্ডব চালাচ্ছেন।


আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেল, বাইতুল মুকাদ্দাস চত্বরে ইসরায়েলি পুলিশ এক মুসল্লিকে নির্মমভাবে পেটাচ্ছে। কাছেই লোকটির শিশুসন্তান। সে দৌড়ে আসছে বাবাকে বাঁচাতে। তাকেও তারা মারছে। আরেকটি ভিডিওতে দেখলাম, এক নারীকে চ্যাংদোলা করে সরানো হচ্ছে।


সর্বশেষ ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, গত জুমার দিনে আল–আকসায় জমায়েত হওয়া দেড় লাখের বেশি মানুষকে ছত্রভঙ্গ করতে ড্রোন থেকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়া হচ্ছে। আতঙ্কিত হয়ে ফিলিস্তিনিরা ছোটাছুটি করছেন। নারী ও শিশুদের পর্যন্ত বেধড়ক মারা হচ্ছে। তারপর গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এসব ভিডিও চিত্রে ইসরায়েলি বাহিনীর পীড়নের তীব্রতা এতটাই বেশি যে তা পুরোটা দেখা কঠিন হয়ে পড়ে।

এপ্রিলের শুরু থেকে ইসরায়েলি সেনারা আল–আকসা ঘেরাও করছিলেন। ১৫ এপ্রিল (শুক্রবার) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে খবর বের হলো, ১৭০ জনের বেশি মুসল্লি ইসরায়েলি বাহিনীর লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসের শেল, রাবার বুলেট ও গুলিতে গুরুতর আহত হন। কয়েক শ মুসল্লিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


ওই ঘটনার দুই দিন পর আবার সেখানে ইসরায়েলি পুলিশ হানা দেয়। আবার তারা একইভাবে গুলি করে। এবারের ঘটনায় সেখানে ২০ জন আহত হন। এরপর সর্বশেষ জুমায় দেড় লাখ মুসল্লি সেখানে নামাজ আদায় করতে যান। আবার সেখানে হামলা চালানো হয়।


গত বছর শবে কদরের রাতে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। এবারও একই অবস্থা তৈরি করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এবারও শবে কদর কিংবা ঈদের দিন ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ওপর বড় ধরনের হামলা চালানো হতে পারে।


আসলে ১৯৬৭ সালে পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলের দখলদারি অভিযানের পর থেকেই আল–আকসা আক্রান্ত হয়ে আসছে। তখন থেকেই উগ্র ইহুদিবাদীরা এই মসজিদে ঢুকতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে গত এক দশকে তাঁদের অনুপ্রবেশ প্রায় নিয়মিত হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও