সমাজের জন্য এটা খুবই ভীতিকর বার্তা
একজন পুলিশ কর্মকর্তা যিনি আইনের রক্ষক হিসেবে কাজ করার কথা, তিনিই যখন অপরাধীর ভূমিকায় চলে আসেন, তখন তা সমাজকে একটি ভীতিকর বার্তা দেয়। আমি শুনেছি যে অভিযুক্ত ব্যক্তি তার মোটরসাইকেল ভুক্তভোগী নারীর উপর উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এটা তিনি কিভাবে পারলেন? তার কি সত্যিই পুলিশ হিসেবে দায়িত্ব পালনের মতো মানসিক সক্ষমতা আছে?
আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানোর পরিবর্তে যদি পুলিশ এ ধরনের ঘৃণ্য কর্মকান্ড চালায়, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ এবং অসাম্প্রদায়িক দেশ। মুক্তিযুদ্ধের সময় এটি ছিল আমাদের চারটি মূলনীতির একটি। আমি মনে করি, এই দেশের অধিকাংশ মানুষই অসাম্প্রদায়িক। তারা শান্তিপূর্ণভাবে পাশাপাশি বসবাস করে, যতক্ষণ না পর্যন্ত রাজনৈতিক বা অন্য কোনো স্বার্থে তাদের উস্কানি দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তি এই উস্কানির অংশ কিনা অথবা সে নিজেই প্রধান ভূমিকায় কিনা তা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। দুটি সম্ভাবনাই আমাদের জন্য ভয়ঙ্কর।
আমরা দেখেছি কিভাবে পূজার সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে মন্ডপে হামলা চালানো হয়েছে এবং দেশের বিভিন্ন জেলায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আমরা দেখেছি কিভাবে উস্কানি পাওয়ার পরেই ধর্মান্ধরা উন্মত্ত হয়ে উঠেছে।