শেষ পর্যন্ত কে দেখবে ঘুঘুর ফাঁদ

সমকাল মহিউদ্দিন খান মোহন প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:৪৩

দেশবাসীর দৃষ্টি যে এখন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিকে, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ১৬ জানুয়ারি রোববার এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে বলা যায়, শান্তিপূর্ণভাবেই নির্বাচনী প্রচারণা চলছিল। মেয়র পদে প্রধান দুই প্রার্থী নিজেদের প্রচার চালাচ্ছেন নির্বাচনী আইন মেনে এবং পরস্পরের সমালোচনা করছেন শালীনতার সীমার মধ্যেই। কেউ কারও বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করছেন না; অশালীন ভাষায় আক্রমণও করছেন না। ফলে নির্বাচনী প্রচারে উচ্ছ্বাস থাকলেও কোনো ধরনের উচ্ছৃঙ্খলতার খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।


আওয়ামী লীগের প্রার্থী তিনবারের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী কিছুটা বিপাকে আছেন দলীয় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানকে নিয়ে। তাদের দু'জনের বৈরিতার কথা সর্বজনবিদিত। ডা. আইভী শামীম ওসমানকে 'গডফাদার' বলে অভিহিত করে আবহাওয়া কিছুটা গরম করে তুলেছিলেন। তিনি এটাও বলেছিলেন, তৈমূর আলম খন্দকার ওসমান পরিবারের প্রার্থী। তিনি তার উক্তির পক্ষে এই বলে যুক্তি দিয়েছেন, শামীম ওসমান ৩০ বছর ধরে গডফাদার হিসেবে পরিচিত। অর্থাৎ তাকে গডফাদার বলে আইভী কোনো দোষ করেননি। নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের রাজনীতির এ দুই দিকপালের বিরোধ মেটাতে সক্রিয় হয়েছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব। তারই আলোকে গত ১০ জানুয়ারি শামীম ওসমান সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দিয়েছেন, নৌকার পক্ষে তিনি আছেন এবং থাকবেন। তার এ ঘোষণা দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের 'নৌকার বিরোধিতাকারীরা ভবিষ্যতে আর নৌকা পাবেন না'- হুঁশিয়ারির কারণে কিনা, তা নিয়ে সচেতন মহলে বিস্তর আলোচনা আছে। অবশ্য তার আগেই সেলিনা হায়াৎ আইভী বলে দিয়েছেন, শামীম ওসমানের সমর্থন তার প্রয়োজন নেই। তবে আইভীর ই মন্তব্যকে নারায়ণগঞ্জের নাগরিক সমাজ সঠিক মনে করছেন না। কেননা, নির্বাচনে যেখানে প্রধান ফ্যাক্টর জনসমর্থন ও ভোট, সেখানে কোনো প্রার্থীর মুখে বিশেষ কারও সমর্থনের প্রয়োজন নেই- এ ধরনের অপরিণামদর্শী বক্তব্য মোটেই সুবিবেচনাপ্রসূত নয়। তাই অনেকেই মনে করছেন, শামীম ওসমান মুখে তার সমর্থনের কথা ব্যক্ত করলেও আন্তরিকভাবে তা কতটুকু করবেন, সে প্রশ্ন থেকেই যাবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও