এক গোধূলি আলোয় গ্রামবাংলা
বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর পড়ন্ত শীত-বিকেলে গিয়েছিলাম টাঙ্গাইলের অদূরে বড়বাসালিয়া গ্রামে। দুদিকে সরিষার খেত। মায়াবী হলুদ রং ছড়াচ্ছে, তার সঙ্গে বিকেলের আলো মিলে চমৎকার একটা আবহ সৃষ্টি হয়েছে।
বন্ধু শাহজাহানের সঙ্গে তার আবাসভূমির দিকে যাচ্ছিলাম বড়বাসালিয়া গ্রামে। এই বড়বাসালিয়া গ্রামের সঙ্গে আমার আশৈশবের পরিচয়। এ গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে এককালের স্রোতস্বিনী লৌহজং নদী। এই নদী ঢাকা থেকে মির্জাপুর হয়ে অনেক খাল তৈরি করে শেষ পর্যন্ত মিশে গেছে যমুনায়। নদীর ওপারেই কয়েকটি গ্রাম, তার মধ্যে মনে পড়ে একটি গ্রামের নাম ‘বাঁশি’। বাঁশি গ্রামটি ছিল হিন্দুপ্রধান। বিভিন্ন পূজা-পার্বণে গ্রামটি মেতে উঠত! সারি সারি লিচুগাছ এবং সুপারিবাগান, মনে করিয়ে দিত নজরুলের কবিতা-বাতায়ন পাশে গোবাক তরুর সারি। ওই গ্রামেই ছিল আমার প্রিয় প্রাণনাথ স্যারের বাড়ি। প্রাণনাথ স্যার বিনা মূল্যে ছাত্রদের প্রাইভেট পড়াতেন। বিশেষ করে অঙ্ক। আরেকটু দূরেই এলেঙ্গা, ওই স্কুলেই আমি পড়তাম। এলেঙ্গার পাশ দিয়ে আরেকটি নদী চলে গেছে।
- ট্যাগ:
- মতামত
- নদী ভাঙন
- নদীভাঙন রোধ