সাংবাদিক ফাগুন হত্যাকাণ্ড, পিবিআই এবং বাবার ভাষ্য
প্রতিটা একুশ তারিখ আমার জন্য একেকটা হাহাকারের দিন। একুশ মানে আমার ফাগুন হারানোর দিন। ফাগুন মানে, ইহসান ইবনে রেজা, ফাগুন রেজা, নিহত তরুণ সাংবাদিক। যে এসেছিলো অনেক কিছুই পাল্টে দিতে। চেয়েছিলো এক বিশুদ্ধ গণমাধ্যম। যেখানে স্তুতি ও স্তাবকতার বদলে থাকবে সত্যের সম্পূর্ণ বিস্তার। পারেনি, ফাগুনকে হত্যা করা হয়েছিলো।
মূলত ফাগুনকে নিয়ে আমি মাসের একুশ তারিখে লিখি। কিন্তু এবার আগেই লিখতে বসলাম একটা খবরকে ঘিরে। ফাগুন হত্যা মামলা এখন পুলিশ বিউরো অব ইনভেস্টিগেশন সংক্ষেপে যাকে বলা হয় পিবিআই সেই প্রতিষ্ঠানটির হাতে। ফাগুন চলে যাবার দু’বছর পুরো হয়েছে। কিন্তু হত্যার কারণ এখনো উদঘাটিত হয়নি। তবে পিবিআই মামলা হাতে পাওয়ার চার মাসের মধ্যে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করতে পেরেছে। যে কিলার গ্রুপটা ফাগুনকে হত্যার সাথে জড়িত তাদের তিন জনকে হেফাজতে নিতে পেরেছে তারা।
সেই তিন জনের একজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিতে বলেছে যে, তারা পাঁচজন মিলে ল্যাপটপ এবং ফোনের জন্য ফাগুনকে হত্যা করেছে। স্বীকারোক্তির ধরণটা কমন। কিন্তু ঘটনা পরম্পরা সেই স্বীকারোক্তির সাথে মেলে না। সেই স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কোকাকোলার সাথে ফাগুনকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়েছিলো। তারপর সে সঙ্গতই নিস্তেজ হয়ে পড়ে। তখন তার ল্যাপটপ, ফোন আর পকেটে থাকা টাকা নেয়ার সময় বাধা দেয় ফাগুন। তখন তাকে আঘাত করে ট্রেন থেকে ফেলে দেয়া হয়। আর সে সময় ট্রেনের কামরায় লোকজন ছিলো না। এই হলো স্বীকারোক্তির মূল কথা।