সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রাসঙ্গিকতা

ঢাকা পোষ্ট মো. সাখাওয়াত হোসেন প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১২:১০

সহিংসতা তথা অস্থিরতা সম্পন্ন দেশসমূহের মধ্যে পৃথিবীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান শীর্ষে। এই দেশটিতে সাধারণত অপরাধকে নির্মূলের জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অর্থাৎ শাস্তির মধ্য দিয়ে অপরাধ ও অপরাধীকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়। তদুপরি দেশটিতে সংঘাত সহিংসতা কমছে না।


যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ১ লাখ লোকের মধ্যে প্রায় ৭০০ জন বিভিন্ন অপরাধে কারাবরণ করে থাকে এবং শিল্পোন্নত শীর্ষস্থানীয় দেশসমূহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে এখনো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়ে থাকে (Currie, 2008)। এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে যার পরিপ্রেক্ষিতে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্র কল্যাণকর রাষ্ট্রের দিকে ধাবিত না হয়ে কেবলমাত্র শাস্তি প্রদানের রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে (Wacquant, 2001)।


কাজেই, এমন একটি প্রশ্ন উত্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে; অপরাধ এবং অপরাধ প্রতিকারের জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত? এই পরিস্থিতিতে অপরাধবিজ্ঞানীরা মনে করছেন; চলমান বিচার ব্যবস্থাপনা দিয়ে যেহেতু সহিংসতাকে প্রতিকার করা সম্ভব হচ্ছে না তাই ইনফরমাল বিচার ব্যবস্থা তথা সমাজের মাধ্যমে সৃষ্ট বিচার ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করার সময় এসেছে। সঙ্গত কারণেই অপরাধবিজ্ঞানের একটি নতুন সংযোজন হিসেবে Peacemaking Criminology আলোচনায় এসেছে।


Peacemaking Criminology’র তাত্ত্বিকদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রিচার্ড কুইনি (Richard Quinney)। তিনি তার আলোচনায় নতুন এ বিষয়টির বেশকিছু দিক তুলে নিয়ে এসেছেন যার পরিপ্রেক্ষিতে সহিংসতাকে প্রতিহত করে শান্তি ও সুবিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।


তিনি বলেছেন, অপরাধ মানুষকে ভোগায়, ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি করে থাকে; কাজেই ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে পারলেই অপরাধকে প্রতিহত করা সম্ভব হবে;


দ্বিতীয়ত, অপরাধ ও তার প্রেক্ষিতে ক্ষয়ক্ষতি শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে চিরতরে বিনাশ করা সম্ভব হয়;


তৃতীয়ত, মানুষের রূপান্তরের মাধ্যমে শান্তি এবং সুবিচার নিশ্চিত করা যায়;


চতুর্থত, মানুষের রূপান্তর তখনই সম্ভব হবে যখন আমরা আমাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক অবস্থানকে পরিবর্তনে উদ্যোগী হবো। এ তত্ত্বের বিশ্বাসীরা সাধারণত অপরাধের পরিবর্তে শান্তি নিশ্চিত করতে চাই। ফলশ্রুতিতে কমিউনিটি ভিত্তিক বিচার ব্যবস্থার ওপর বিশেষ করে বিকল্প উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তি, মধ্যস্থতা, সমন্বয় সাধনসহ অন্যান্য শাস্তিসুলভ নয় এমন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রকে নিরাপদে রাখা যায় (DeKeseredy and Schwartz, 1996)।


প্রাসঙ্গিক আলোচনায় দেখা হয়, বিকল্প উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তি তথা সামাজিক বিচার ব্যবস্থাপনার অন্যতম একটি উদাহরণ হচ্ছে Restorative Justice System। এ ব্যবস্থাপনা হচ্ছে একটি দর্শন যেখানে অপরাধ এবং সহিংসতাকে রাষ্ট্রীয় আইনের বিপরীতে চিন্তা করা হয়।


এতে বলা হয়, আমরা কীভাবে অপরাধ ও সহিংসতাকে নিয়ে চিন্তা করি; সমাজে সামষ্টিকভাবে আমরা কীভাবে আমাদের মূল্যায়ন করি; আমরা অপরাধকে কীভাবে মোকাবিলা করি সর্বোপরি একটা অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পরে একে কীভাবে পুনরুদ্ধার করা হয় তথা ক্ষয়ক্ষতির ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়।


অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় বিচার ব্যবস্থার বাইরে গিয়ে সংঘটিত অপরাধকে সামাজিকভাবে কোন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হয়, অপরাধকে কীভাবে মোকাবিলা করা হয় এবং অপরাধ ঘটার পর এর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কী ধরনের ব্যবস্থা গৃহীত হয়ে থাকে ইত্যাদি বিষয়া নিয়ে এ দর্শনটি মূলত কাজ করে থাকে।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও