অভিশপ্ত আগস্ট
একটা মাস কিংবা বছর, কিংবা একটা তারিখ আসলে সত্যি সত্যি কখনো অভিশপ্ত হতে পারে না। যদি সত্যি সত্যি কেউ এরকম কিছু একটা বিশ্বাস করে তাহলে সেটা এক ধরনের কুসংস্কার ছাড়া আর কিছুই না। তারপরেও পৃথিবীতে এরকম কুসংস্কারের কোনো অভাব নেই। বিজ্ঞানমনস্ক আধুনিক পশ্চিমা জগত অশুভ মনে করে ১৩ সংখ্যাটিকে খুবই যত্ন করে এড়িয়ে যায়। তাদের নামী-দামী হোটেলে ১২ তলার পর ১৪ তলা থাকে, কোনো ১৩ তলা থাকে না! হোটেলের রুম নাম্বারেও ১২ এরপর ১৪, কোনো ১৩ নেই। যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে আমি যে বাসায় থাকতাম সেটি রাস্তার একপাশে বেজোড় সংখ্যার বাসাগুলোর একটি। ১১ নম্বরের পর আমার বাসাটি ১৩ নম্বর হওয়ার কথা ছিল কিন্তু সেটি ছিল ১৫ নম্বর।
বিজ্ঞানমনস্কতার জগতে সবচেয়ে বড় সর্বনাশ হয়েছিল চন্দ্রাভিযানের বেলায়, সংখ্যার ধারাবাহিকতায় অ্যাপোলো ১২ এরপর অ্যাপোলো ১৩ পাঠানো হয়েছিল। সেই ‘অ্যাপোলো-থার্টিন’ চাঁদে তো যেতে পারেইনি, মাঝখানে দুর্ঘটনায় পড়ে মহাকাশচারীদের জীবন বাঁচানোই কঠিন হয়ে পড়েছিল। কাজেই পশ্চিমা জগত এখনো কঠিনভাবে বিশ্বাস করে যে ১৩ সংখ্যাটি অশুভ। আমি যখন এই লেখাটির শিরোনাম ‘অভিশপ্ত আগস্ট’ লিখেছি তখন সেটি কোনো কুসংস্কার থেকে লিখিনি, বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে লিখেছি।