কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি: মরার ওপর খাঁড়ার ঘা

চ্যানেল আই সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২০, ২০:৫৫

করোনাভাইরাস যখন দিন দিন শঙ্কার কথা শোনাচ্ছে, তখন যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে আসলো আরেকটি দুঃসংবাদ। সোমবার সকাল পৌনে ৯টায় মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা দুই তলা মর্নিং বার্ড লঞ্চ সদরঘাট কাঠপট্টি ঘাটে ভেড়ানোর খানিক আগে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায়।

ওই লঞ্চে প্রায় ১০০ জন যাত্রী ছিলেন। এখন পর্যন্ত ২৫ জনের মতো মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর ফলে বুড়িগঙ্গা পাড়ে এখনও স্বজন হারানোর কান্না চলছে। এই কান্নায় বাতাস ভারি হয়ে উঠছে। এই শোক কাটিয়ে ওঠার মতো নয়। বুড়িগঙ্গায় এই শোকাবহ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ হয়েছে।

ওই ফুটেজ দেখে বহু মানুষের হতাহতের ঘটনাকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তুলনা করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে মনে হয়েছে এটি দুর্ঘটনা নয়, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। এ ক্ষেত্রে লঞ্চমালিকদের গাফিলতি আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে।’

গণপরিবহনের দুর্ঘটনা এদেশে যেন নিত্যদিনের স্বাভাবিক ঘটনা! এ নিয়ে কারও তেমন মাথাব্যথা নেই বললেই চলে। বিশেষ করে চালকদের বেশিরভাগই অসচেতন থাকেন। নিয়ম না মানার কারণে ঝরে যায় বহু প্রাণ। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর কথায়ও সেটা পরিষ্কার। এটি দুর্ঘটনার কারণে হয়নি। তাই তিনি একে হত্যাকাণ্ডের সাথে তুলনা করেছেন। এ ঘটনার যথাযথ বিচার হবে বলে আমরা আশা করি।

নৌ প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ দুর্যোগ তহবিল থেকে লঞ্চ দুর্ঘটনায় মৃত প্রত্যেকের পরিবারকে দেড় লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে দাফনের জন্য বিআইডব্লিউটিএর পক্ষ থেকে ১০ হাজার করে টাকা এবং ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে।

এমন প্রাণহানির ক্ষতি কখনো যদিও পূরণ হওয়ার নয়, তবুও এটা ভালো উদ্যোগ বলেই আমরা মনে করি। তবে তাদের পরিবারের যেন কারও কাছে হাত পাততে না হয়, সেজন্য আরও বেশি অর্থাৎ যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এ ঘটনায় যত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক না কেন, এমন কাণ্ড যেন ভবিষ্যতে না ঘটে তা নিশ্চিত করতে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও