স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পর্যাপ্ত করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে পারেনি

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২০, ০৮:৪৫

নিজের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সংক্রমণ থেকে স্বজনদের দূরে রাখতে মানুষ করোনা পরীক্ষা করাতে চাইছেন। মানুষের সে চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পর্যাপ্ত সংখ্যায় করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে পারেনি। এ ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ডেও বাংলাদেশ পিছিয়ে।

দেশে সরকারি-বেসরকারি ৬১টি ল্যাবরেটরিতে করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। পরীক্ষা করাতে গিয়ে সাধারণ মানুষ অসহায় পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন। পরীক্ষার ফল পেতে বিলম্ব হচ্ছে। আবার ফল নিয়ে সন্দেহ তৈরি হচ্ছে। পরীক্ষার মান নিয়ন্ত্রণে এখনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। দেশে সঠিকভাবে রোগ শনাক্ত হচ্ছে না বলে সংক্রমণ প্রতিরোধে আইসোলেশনসহ (বিচ্ছিন্নকরণ) অন্য অনেক কাজেও ঘাটতি থেকে যাচ্ছে।

দেশে করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা শুরু হয় জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে। পাঁচ মাস পরে দৈনিক গড়ে ১৫ হাজার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা প্রথম আলোকে বলে, সংক্রমণের বর্তমান যে ধারা, তাতে দেশে দৈনিক ২০ হাজার পরীক্ষা হওয়া দরকার। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকলে দৈনিক ২০ হাজারের বেশি পরীক্ষা করতে হবে।

মহামারির শুরু থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা পরীক্ষার ওপর জোর দিয়ে এসেছে। বলেছে, পরীক্ষা করুন, সন্দেহভাজন প্রত্যেক মানুষকে পরীক্ষা করুন। কিন্তু গত পাঁচ মাসের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এই নির্দেশনাকে গুরুত্ব দেয়নি। পরীক্ষার জন্য তাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল না, তারা লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেনি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ গত ১৮ জুনের সংবাদ বুলেটিনে বলেছিলেন, করোনা পরীক্ষায় জেলা পর্যায়ে আরটিপিসিআর যন্ত্র ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন ও সহজে রোগ শনাক্তকরণের ব্যবস্থা উপজেলা পর্যায়ে করার চিন্তা চলছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও