স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জালিয়াতি: প্রশিক্ষণের ভুয়া বিলে ২২ কোটি টাকা আত্মসাৎ, বিদেশে পাচার
দক্ষতা বাড়াতে মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি অব মালায়া থেকে প্রশিক্ষণ নেবেন ৭২ জন চিকিৎসক ও কর্মকর্তা। কিন্তু এ জন্য রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা পাঠানো হয়েছে থাইল্যান্ডের থামাসাট ইউনিভার্সিটির অনুকূলে একটি ব্যাংক হিসাবে।
পরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে উঠে আসে, এই ব্যাংক হিসাবটি ছিল সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের তৎকালীন এপিএস শেখ আরিফুর রহমানের ভাই শেখ আলতাফুর রহমানের। আর প্রশিক্ষণের জন্য ইউনিভার্সিটি অব মালায়ার যে ই-মেইল আইডিতে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল, সেটিও ছিল ভুয়া। মূলত জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের জন্য বাংলাদেশে বসেই ওই ই-মেইল আইডি খোলা হয়।
শুধু এটি নয়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাত কর্মসূচির (এইচপিএনএসপি) আওতায় প্রশিক্ষণের নামে এ রকম সাতটি জালিয়াতির তথ্য পেয়েছে দুদক। এতে প্রায় ২২ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে সংস্থাটি। এসব ঘটনার সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ ও লাইন ডিরেক্টর নাজমুল ইসলামসহ ১১ জনের নাম উঠে এসেছে।
জালিয়াতির সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যরা হলেন চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন শাখার তৎকালীন প্রোগ্রাম ম্যানেজার (বৈদেশিক প্রশিক্ষণ) মো. নাসির উদ্দিন, ডা. শামীম আল-মামুন, সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. লায়াল হাসান, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. আলমগীর হোসেন, ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সুভাষ চন্দ্র দাস, থামাসাট ইউনিভার্সিটিতে কর্মরত ড. শেখ আলতাফুর রহমান, থাইল্যান্ডে বসবাসরত সরফরাজ নেওয়াজ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাবেক কনসালট্যান্ট ডা. আনোয়ার জাবেদ।