শরীর থেকে আত্মাত্যাগে শুধু মানুষের মৃত্যু হয় না। স্বপ্নভঙ্গ হয়ে স্বপ্নহীন জীবন-যাপন বা জীবনের উদ্দেশ্য না থাকলে মানুষের মৃত্যু অনেক আগেই হয়ে যায়। মানুষের দেহ থেকে আত্মা চলে গেলে আমরা তাকে মৃত বলে থাকি। কেন? কারণ আত্মা ছাড়া দেহ চলতে পারে না। আমাদের শরীরের আত্মাটি একটি গাড়ির ইঞ্জিনের মতো যা ছাড়া একটি গাড়ি চলতে পারে না।
উপরন্তু একটি ইঞ্জিন চলতে হলে তার গ্যাস বা পেট্রোলের প্রয়োজন। গ্যাস বা পেট্রোল ছাড়া একটি গাড়ির ইঞ্জিন বেশিক্ষণ টিকে না। একসময় ইঞ্জিনটি বিকল হয়ে যায়। তেমনি মানুষের শরীর বেঁচে থাকার জন্য আত্মার প্রয়োজন কিন্তু আত্মা চলতে দরকার নানা ধরনের স্বপ্ন এবং উদ্দেশ্য। স্বপ্ন এবং উদ্দেশ্য ছাড়া মানুষের আত্মা বিকল হয়ে যায়। তথাপি তার অপমৃত্যু হয়ে যায়। তখন মানুষের বেঁচে থাকার কোন মূল্য নেই। যেমনটি নেই পেট্রোল বা গ্যাস বিহীন একটি গাড়ির।
মানুষ মানে স্বপ্নের মৌচাক- যেমন মৌমাছি মানে মধুর মৌচাক। আপনি যদি হঠাৎ একটি মৌমাছি দেখেন তাহলে অবশ্যই নিশ্চিত করে বলতে পারেন যে আশেপাশেই মৌমাছির মৌচাক আছে। ঠিক তেমনি আপনি যখন একটি মানুষকে দেখেন তখন বোঝা যায় যে তার মধ্যে আছে এক স্বপ্নপুরী। যার তাড়নায় সে দিনের পর দিন পরিশ্রম করে যায়। কিন্তু মানুষের সব স্বপ্ন পূরণ হয় না। এটাই স্বাভাবিক।
তাই বলে স্বপ্নভঙ্গে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলে হবে না। হায় হুতাশ করলে চলবে না। আবার উঠে বসতে হবে। নতুন করে স্বপ্নের বীজ বপন করতে হবে। সে স্বপ্নের বাস্তবায়নের জন্য লড়তে হবে। কিন্তু স্বপ্ন বাস্তবায়নের সময় জানা উচিত যে এই স্বপ্নও ভেঙে যেতে পারে। তাতে নিকট ভবিষ্যতে স্বপ্নভঙ্গ হলে মানসিকভাবে বড় আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা করা যাবে। মানুষের অধিকাংশ স্বপ্ন ভেঙ্গে যায় তাই বলে স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কম পরিশ্রম করলে হবে না। বরং যতবেশি সম্ভব নিজের সর্বস্য উজাড় করে দিতে হবে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.