বিএনপি কার্যালয়ে ছাত্রদলের অবরোধ-ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ
দৈনিকসিলেটডেস্ক: কাউন্সিলের তফসিল বাতিল, নেতাকর্মীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় দ্বিতীয় দিনের মতো অবরুদ্ধ করেছেন ছাত্রদলের একাংশের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। এ সময় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছেন তারা। সেখানে দেড় ঘণ্টা বিক্ষোভের পরে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কার্যালয় ত্যাগ করেন বয়স্ক নেতাকর্মীরা। বর্তমানে কাউন্সিলের পক্ষের নেতাকর্মীরা কার্যালয়ের সামনে অবস্থানে রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে ছাত্রদলের নিয়মিতরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছিল। পরবর্তীতে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বহিষ্কৃত বয়স্ক ছাত্রদলের নেতাদের নেতৃত্বে প্রায় দুই-তিন শতাধিক নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে এসে নিয়মিতদের ধাওয়া দেয়। এতে তারা বিএনপি কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়ে। পরে বহিষ্কৃত নেতাকর্মীরাও সেখানে প্রবেশ করতে চায়। এ সময় কার্যালয়ের নিচতলার প্রবেশমুখে থাকা চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে তারা। একইসঙ্গে প্রবেশ পথে থাকা সিসি ক্যামেরাও ভাঙচুর করে। কিছু নেতাকর্মী কার্যালয়ে প্রবেশ করে ২-৩ তলায় উঠে। সেখানে হাতাহাতিতে মাহবুবুর রহমান ইমতিয়াজ নামে একজন আহত হন। পরে বহিষ্কৃত নেতাকর্মীরা কাউন্সিলের তফসিল বাতিল করে নিয়মিত ছাত্রদের নিয়ে কমিটি গঠনের দাবিতে কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। তাদের দাবি, কাউন্সিলের জন্য ঘোষিত তফসিল বাতিল করে তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নতুন করে কাউন্সিলের তফসিল ঘোষণা করতে হবে। সেই সঙ্গে ছাত্রদলের বয়সসীমা নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, সেটিও নিরসন করতে হবে। এর আগে, সোমবারও নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ফের অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে ছাত্রদলের একাংশ। একপর্যায়ে সেখানে একাধিক ককটেলের বিস্ফোরণও ঘটানো হয়। গত ২২ জুন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রদলের ১২ নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরদিনই ছাত্রদলের কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করে বিএনপি। ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১৫ জুলাই নতুন নেতৃত্ব বেছে নেবে বিএনপির এই অঙ্গসংগঠন। কাউন্সিলের তফসিলে বলা হয়েছে, নতুন কমিটিতে নেতা হতে হলে ২০০০ সাল বা এর পরের যেকোনো বছরে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।