You have reached your daily news limit

Please log in to continue


বড়লেখায় টিলা ধ্বসে ট্রাক্টর শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২

বড়লেখা সংবাদদাতা :: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় রাতের আঁধারে মাটি কাটার সময় টিলা ধ্বসে মাটির নিচে চাপা পড়ে হারুনুর রশীদ (২৫) নামে এক ট্রাক্টর শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দু'জন। নিহত হারুনুর রশীদ উপজেলার বালিশকোনা গ্রামের ফয়জুর রহমানের ছেলে। বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চন্ডিনগর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। লাশ উদ্ধার করে শুক্রবার সকালে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে টিলার মালিক ও ট্রাক্টর চালক পলাতক রয়েছেন। থানা-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার চন্ডিনগর গ্রামে আব্দুস সবুরের টিলায় মাটি কাটা চলছিল। আব্দুস সবুর দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ আইন অমান্য করে টিলার মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রি করছিলেন। ঘটনার দিন রাতে মাটি কেটে ট্রাক্টরে তোলতে গিয়ে ট্রাক্টর শ্রমিক হারুনুর রশীদ, জামিল আহমদ ও আজাদ মিয়ার ওপর টিলা ধ্বসে পড়ে। তাদের মধ্যে হারুনুর রশীদ ঘটনাস্থলে মারা যান। আহতবস্থায় জামিল ও আজাদকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়ভাবে খবর পেয়ে পুলিশ রাত দুইটায় ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, টিলার পাদদেশে আব্দুস সবুরের আধাপাকা ঘর। এখানে তিনি ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন। ঘরের পাশেই চলছে টিলা কাটা। দীর্ঘদিন ধরে সেখানে টিলার মাটি কাটা চলছে। খোঁজ করে আব্দুস সবুরকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। বাড়িতে আব্দুস সবুরকে না পেয়ে কথা হয় তাঁর মা মায়া বেগম ও স্ত্রী ছালেমা বেগমের সঙ্গে। তাঁরা জানান, রাতে টিলা ধ্বসে একজন মারা গেছেন বলে তাঁরা সকালে শোনেছেন। ট্রাক্টর চালক ময়নুল ইসলাম তাদের না বলেই প্রায় তাদের টিলা থেকে মাটি নিয়ে যান। এর বেশি তারা কিছুই জানেন। মাটি বিক্রির অভিযোগ তারা অস্বীকার করেছেন। বড়লেখা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরীফ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শুক্রবার বিকেল ৪টায় বলেন, ঘটনার সময় হারুনুর রশীদ টিলায় মাটি কেটে ট্রাক্টরে ভরছিলেন। এ সময় টিলা ধ্বসে মাটির নিচে চাপা পড়ে তিনি মারা যান। স্থানীয়ভাবে খবর পেয়ে রাতেই সেখানে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছি। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে শুক্রবার সকালে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন