আওয়ামী লীগ নেতার হিমাগারে মেডিকেল শিক্ষার্থীকে ‘হাতুড়িপেটা’ ও দুই বোনকে ‘সেফটি পিন ফুটিয়ে’ নির্যাতন

www.ajkerpatrika.com রাজশাহী মেট্রোপলিটন প্রকাশিত: ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ২০:০৫

রাজশাহী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সরকারের হিমাগারে মেডিকেল শিক্ষার্থী ও তাঁর দুই খালাতো বোনকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।


আজ মঙ্গলবার সকালে জেলার পবা উপজেলার বায়া এলাকায় সরকার কোল্ড স্টোরেজের অফিস কক্ষে তাঁদের নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন অফিস কক্ষটিতে ভাঙচুর চালান।


এলাকাবাসী মোহাম্মদ আলী সরকারের ছেলে আহসান উদ্দিন সরকার জিকো (৪৫), মেয়ে আঁখি (৩৫) ও হাবিবাকে (৪০) অফিস কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় এয়ারপোর্ট থানা-পুলিশ তাঁদের আটক করে নিয়ে যায়। এর আগে পুলিশ আহত তিনজনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠায়।


নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের বাড়ি পবা উপজেলায়। আহত যুবক রাজশাহীর একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁর সঙ্গে খালাতো দুই বোন ছিলেন। এ ঘটনায় যুবকের ভাই বাদী হয়ে পবা থানায় মামলা করেছেন।


আহত নারী জানান, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকারের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি তাঁর ছেলেমেয়েরা ভালোভাবে নিতেন না। তাঁদের সন্দেহ, মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে তাঁর অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। আজ সকালে ওই নারীকে ফোনকল করে তাঁর হিমাগারে ডাকা হয়। তখন তিনি তাঁর খালাতো ভাই ও ছোট বোনকে নিয়ে আসেন। এখানে আসার পর মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও মেয়েরা তাঁদের ধাক্কা দিতে দিতে অফিস কক্ষের ভেতরে নিয়ে যান। এরপর কর্মচারীদের সহায়তায় তাঁদের নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের সময় দরজা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। তাঁদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।


নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরীর অভিযোগ, মোহাম্মদ আলী সরকারের দুই মেয়ে তাঁদের দুই বোনের সারা শরীরে সেফটি পিন ফুটিয়ে নির্যাতন করেছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও